প্রেমিককে সাথে নিয়ে দুসন্তানদের কম্বলে মুড়িয়ে আগুরন পুড়িয়ে হত্যা

ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট    নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পরকীয়ার জেরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশু নিহত হওয়ার ঘটনা আদালতে বর্ণনা করেছে প্রেমিক মোমেন মিয়া (৩৫)। সে এ সময় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

গভীর রাতে দু’জন মিলে সন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী শেফালি দুই সন্তানের গায়ে কম্বল মুড়িয়ে দেয়। আর আগুন দেয় মোমেন।

শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে ওই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

২২ এপ্রিল ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আত্মীয়র বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মোমেন মিয়া আড়াইহাজার উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কাশেম জানান, শেফালীর সঙ্গে পরকীয়ার কথা আদালতে স্বীকার করেছে মোমেন। সে জানায়, ১২ এপ্রিল রাতে তাকে বাড়ির পাশে দেখে ডেকে নিয়ে যায় শেফালী। দু’জন অন্যত্র চলে যেতে চায়। এ নিয়ে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে গভীর রাতে দু’জন মিলে সন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক শেফালি দুই সন্তানের গায়ে কম্বল মুড়িয়ে দেয়। আর আগুন দেয় মোমেন।

কর্মকর্তা আরও জানান, ১৩ এপ্রিল আড়াইহাজারে উচিৎপুরা ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়ায় লিবিয়া প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে স্কুলছাত্র হৃদয় হোসেন (৯) নিহত এবং তার ভাই জিহাদ হোসেন শিহাব (৭) দগ্ধ হয়। এ ঘটনায় তাদের মা শেফালি আক্তারকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক থাকে মোমেন। সে সম্পর্কে শেফালির দেবর।

পরে শেফালির শ্বশুর বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় শেফালি ও মোমেনকে আসামি করা হয়। এরই মধ্যে আদালতে শেফালি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং তার সঙ্গে মোমেনের পরকীয়ার কথা জানায়।

এ সুযোগে ১২ এপ্রিল রাতে শেফালির ঘরে প্রবেশ করে মোমেন। সে গভীর রাতে তাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় এবং তার দুই ছেলের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

Check Also

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কম্বল বিতরণ

গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে অসহায় ও দুস্থ শীতার্ত মানুষের মধ্যে কর্কশিট ও ২০০ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।