সাতক্ষীরায় দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় দোকান ভাংচুরে প্রতিবাদে জেলা
তাঁতী লীগের সদস্য সচিব তুহিনের বিরুদ্ধে চা দোকানির সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে এক চায়ের দোকানির দোকান ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও পত্রিকায় মিথ্যে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সুলতানপুর বড়বাজার এলাকার আমির চাঁদ এর ছেলে চায়ের দোকানি ও তাঁতী লীগ নেতা হেলাল উদ্দীন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সুলতানপুর বড়বাজারে আইসক্রিম ফ্যাক্টরির পাশে খালধারে একটি খাস জমির উপর চায়ের দোকান নির্মাণ করে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি। একই সাথে জেলা তাঁতী লীগের জন্মলগ্ন থেকে আমি সুনামের সাথে পৌর ৪ নং ওয়ার্ড তাঁতী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে অসছি। জেলা তাঁতী লীগের স্থায়ী কার্যালয় না থাকায় নেতৃবৃন্দ আমার চায়ের দোকানকে তাঁতী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন। সেই সুবাদে তৎকালিন জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান তুহিন সংগঠনকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে নিজ খরচে আমার চায়ের দোকানে পৗর ৪নং ওয়ার্ড তাঁতী লীগের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি জেলা তাঁতী লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি অনুমোদিত হলে উক্ত কমিটির সদস্য সচিব পরিচয়ে মনিরুজ্জামান তুহিন গত ৩ মে সকালে ০১৭১১-১৬৭১৮২ নম্বর থেকে ফোন করে আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কারন জানতে চাইলে তুহিন বলে যে, কেন্দ্র হতে কমিটি নিয়ে আসতে আমার কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে তুই কিভাবে সভাপতির পদে থাকিস এবং তোর দোকান ওখানে কিভাবে থাকে আমি তা দেখে নেব। বিষয়টি পৌর তাঁতী লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে জানালে তারা আমার দোকানে আসতে সম্মত হন। তার আসার আগেই সন্ত্রাসী তুহিনের নেতৃত্বে ইটাগাছা এলাকার হোসেন মাহমুদ ক্যাপ্টেন, একই এলাকার জেএমপি সদস্য শাহাবুদ্দিন, কাজী মারুফসহ অজ্ঞাত ৫/৬জন লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার চায়ের দোকনে এসে হামলা চালায়। এসময় তারা আমার দোকন ভাংচুর করারসহ দোকানে রক্ষিত জাতীর পিতা ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি এবং তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদকের ছবিযুক্ত পোষ্টার ছিড়ে ফেলে তান্ডব সৃষ্টি করে। প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা আমিসহ দুই শিশু সন্তান রাজু ও সাজুকে মারপিট করে। খবর পেয়ে জেলা তাঁতী লীগের নেতৃবৃন্দ এসে প্রতিরোধ করলে তারা পালিয়ে যায়।
হেলাল উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, জেএমপি সদস্য শাহাবুদ্দিন সিরাজ দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে থাকার পর সম্প্রতি দেশে ফিরে তাঁতী লীগ নেতা তুহিনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের করেছে। বর্তমানে তুহিন জামায়াত ও জেএমবি সদস্যদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। যা প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্থ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি এব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে তিনি সাংবাদিকের মিথ্যে তথ্য দিয়ে ও ভূল বুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইনে মিথ্যে সংবাদ পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।