ক্রাইমবার্তা রিপোট: আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশজুড়ে বিচারবহির্ভূত হত্যার ধুমধাম চলছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলটি বলছে, বর্তমানে বিচারবহির্ভূত হত্যা-গুম-খুন মূলত বিরোধী দল নিধনের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, গত দুদিন ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সংগঠনটির বর্তমান সহসভাপতি ফয়সাল আহমেদ সজলকে খুঁজে পাওয়া পাচ্ছে না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই সজলকে তুলে নিয়ে গেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বেছে বেছে বিরোধী দলের তরুণ নেতাকর্মীদের গুম-গ্রেফতার- বিচারবর্হিভূত হত্যারই ধারাবাহিক শিকার ছাত্রনেতা সজল।
প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সজলের খোঁজ না পাওয়ায় উদ্বেগ জানান বিএনপি মুখপাত্র। তিনি বলেন, এ ঘটনা জীবন প্রবাহ রুদ্ধ করে দেয়ার মতো অভিঘাত। সংবাদ সম্মেলনে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকালে প্রাণহানির সমালোচনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেও মাদক নির্মূলের নামে বিচারবহির্ভূতভাবে ৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। দেশ-বিদেশে তুমুল সমালোচনা সত্ত্বেও বিচারবহির্ভূত হত্যা থামছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিবিসির প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, মাদক ব্যবসার চেয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যা ভয়ঙ্কর অপরাধ।
রিজভী বলেন, আমরাও চাই দেশ থেকে মাদক নির্মূল হোক। মাদকের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। কিন্তু বিচারবহির্ভূতভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা নয়।
গণমাধ্যমে মাদকের গডফাদারদের তালিকা প্রকাশ হলেও তাদের ধরা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি মুখপাত্র বলেন, মানুষ হত্যা করে কোনো দিন মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এর পেছনে সরকারের অসৎ উদ্দশ্য আছে। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাদক বিরোধী অভিযানের নামে দেশজুড়ে জোরেশোরে মানুষ খুন চলছে।
বেআইনিভাবে মানুষ হত্যা ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে দাবি করে তিনি বলেন, ২০১৪সালের ৫ জানুয়ারির মতো সরকার আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে চায়। তাই ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার জন্যই জনপদের পর জনপদ রক্তাক্ত করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আন্দোলন আগামীতে তীব্রতর হবে বলে জানান রিজভী।