আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, দেশে মাদক বিস্তারের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ। তাদের আমলেই সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশ থেকে মাদকের চালান ঢুকছে বাংলাদেশে। যারা মাদক আমদানি করে সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে ,তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক। আর সে কারণেই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
টেকনাফের সরকার দলীয় এমপি বদিসহ আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীদের নাম গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলেও এখন পর্যন্ত তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূতভাবে প্রায় ৭৫ জনকে হত্যা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতরাতেও পাঁচ জেলায় সাতজনকে ক্রসফায়ারে দেয়া হয়েছে।
‘গোটা দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মাদক নির্মূলের নামে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা সবার জন্য রীতিমতো উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে,’ যোগ করেন রিজভী।
মাদকবিরোধী অভিযানের নামে আইনশৃঙ্খলাব বাহিনী বাণিজ্য করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, নিরীহ লোকদের ধরে হত্যা ও হত্যার ভয় দেখিয়ে ঈদের আগে রমরমা বাণিজ্য চলছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক ঈদ মওসুমে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এধরনের বাণিজ্য করার সুযোগ করে দেয়। এখন গ্রেফতার বাণিজ্যের পাশাপাশি হত্যা-বাণিজ্য চলছে।
পুলিশ তাদের ইচ্ছা মতো সাধারণ মানুষদের বিশেষ করে কোথাও কোথাও বিএনপিসহ বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ধরে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করছে। দাবিকৃত টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদেরকে ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য বিএনপি মহাসচিবের মায়াকান্না চলছে’
মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য বিএনপি মহাসচিবের মায়াকান্না চলছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ যেই অভিযুক্ত হোক, কেউই ছাড় পাবে না। অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিবের মায়াকান্নায় কোনো লাভ হবে না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সুনামির মতো দেশে মাদক আসছে। তাই মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের প্রয়োজন হয়েছে।
মাদকবিরোধী অভিযানে দলীয় সংসদ সদস্য বদির ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, অপরাধ করে বদির বেয়াই ছাড় পায়নি, অপরাধী বলে প্রমাণিত হলে বদিও ছাড় পাবে না।
বিগত সময়ের তুলনায় এ বছর সড়ক ব্যবস্থা ভালো উল্লেখ করে কাদের বলেন, আব্দুল্লাহপুর থেকে ডিইপিজেড পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ এ বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হবে। সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পে ফোর লেনের কাজও রয়েছে। চীনা কোম্পানীর অনুমোদন পেলেই কাজটি শুরু হবে।
সড়কে আনফিট গাড়ির ব্যাপারে তিনি বলেন, কোনো আনফিট গাড়ি সড়কে চলাচল করতে পারবে না। আনফিট গাড়ি চলাচল করাতে এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে পুলিশসহ যারাই জড়িত থাকবে প্রমাণ পেলে তাদের ব্যাপারেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিন্দ্র কিশোর, ঢাকা জেলা পুলিশের এএসপি (অপরাধ) সাইদুর রহমান, এএসপি (আশুলিয়া-ধামরাই সার্কেল) খোরশেদ আলম, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন প্রমুখ।