শ্যামনগরের পাতাখালির প্রতিবন্ধী বিধবা রাবিয়ার জমি দখল করেছে তাজমিনুর ও সহযোগীরা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : শ্যামনগরের পাতাখালি গ্রামের মৃত মাস্টার মসিউর রহমানের প্রতিবন্ধী বিধবা মেয়ে রাবিয়া ও তার ভাই নুরুল্লাহ গাজি বিভিন্ন দাগে পৈতৃক মোট ১২ বিঘা জমির মধ্যে ভোগ দখলে রয়েছে। কিছুদিন আগে তাদের মূল দলিলটি হারিয়ে যায়। এই সুযোগে ওই এলাকার চিহ্নিত ডাকাত আমজাদ গাজির ছেলে তাজমিনুর রহমান, বাবলুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান, বনদস্যু মফিজ উদ্দিন গাজির ছেলে বক্কার গাজি, ও ইব্রাহিম গাজির ছেলে গিয়াসউদ্দিন গায়ের জোরে ওই ১২ বিঘা জমির চার বিঘা দখল করে নিয়েছে। সেখানে তারা মাছ চাষ করতে থাকে। পরে মূল দলিল খুঁজে পেলেও তারা জমি ছাড়ছে না। স্থানীয় বিচার সালিশ ও শ্যামনগরের এমপির বিচারের রায় পক্ষে থাকলেও তারা ভোগ দখল থেকে সরে আসেনি।
বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সং¦াদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন রাবিয়া খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে রাবিয়া বলেন গত ২৬ মে ওই জমিতে আমরা গেলে ডাকাত আমজাদের ছেলে তাজমিনুর রহমানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ভাই নুরুল্লাহ, তার ছেলে আবু সিদ্দিক, মহিবুল্লাহ গাজি, আহসানউল্লাহ,রজব আলি, মহিদুল্লাহ, শাহিনুর গাজি, জাহাঙ্গির, আবু হানিফা, আবু বক্কর, শাহাবুদ্দিন ও আল মামুনসহ অনেককে কুপিয়ে আহত করে। এদের মধ্যে মহিবুল্লাহ ও আবু সিদ্দিকের অবস্থা আশংকাজনক। আহতদের শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাবিয়া বলেন এ ঘটনায় তার ভাই নুরুল্লাহ গাজি ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা করেন। পরে প্রতিপক্ষের আবু বক্কর গাজি একটি পাল্টা মামলা করে। এর পর থেকে তাজমিনুরসহ দার সগযোগীরা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমাদের খুন জখম করে এলাকা ছাড়া করবে বলে বারবার হুমকি দিচ্ছে।
রাবিয়া খাতুন বলেন আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেতে চাই। হামলাকারী ও দখলকারী ডাকাত ও বনদস্যুদের বিচার দাবি করে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

Please follow and like us:

Check Also

তালায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জামায়াত

সাতক্ষীরার তালায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (২৩ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।