ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ জুমার পর বিকাল ৩টায় বিএনপির সমাবেশের কার্য্ক্রম শুরু হবে। এরই মধ্যে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেছে দলীয় নেতাকর্মীর। সমাবেশে জনতার ঢল নামবে আশা দলটির। বিকাল তিরটা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জুম্মার নামাজের পর থেকে জনতার ঢল নামতে থাকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের দিকে
সমাবেশে ব্যবহারের জন্য বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কের পূর্ব দিকে পল্টন মসজিদ এবং পশ্চিম দিকে ঢাকা ব্যাংক ভবন পর্যন্ত মাইক লাগানোর মৌখিক অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।এরই মধ্যে সড়কে বিদ্যুৎ ও ল্যাম্পপোস্টের খুঁটিতে মাইক লাগানো হয়েছে।তবে সমাবেশের অনুমতি পেলেও সময় স্বল্পতার কারণে মঞ্চ তৈরির সুযোগ পায়নি বিএনপি।ফলে খোলা ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়েই দলের শীর্ষ নেতারা বক্তৃতা করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির বলেন, অনুমতি পাওয়ার পর আমরা সময় পেয়েছি কম। তার পরও সমাবেশের সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। জুমার পর বিকাল ৩টায় সমাবেশের কার্য্ক্রম শুরু হবে।রিজভী জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে মহানগর-জেলা-উপজেলায় একযোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করার জন্য গত পাঁচ মাসে অসংখ্যবার অনুমতি চেয়েছে বিএনপি। কিন্তু কিছুতেই মিলছিল না পুলিশের অনুমতি। অবশেষে তাদের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।এদিকে সমাবেশ করতে বিএনপিকে ২৩টি শর্ত দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন সড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, কিছু শর্ত বেঁধে দিয়ে ডিএমপি সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে বিএনপিকে। সেই সব শর্ত মেনে দলটিকে সমাবেশ করতে হবে।শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিকাল ৫টার মধ্যেই সমাবেশ শেষ করতে হবে। লাঠি, বাঁশ, ছুরি, কাঁচি, বিস্ফোরকদ্রব্য মিছিলে ব্যবহার করা বা সমাবেশে নেওয়া যাবে না। সমাবেশ চলাকালে রাস্তা দখল করে নেতাকর্মীরা দাঁড়াতে পারবেন না। বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়ালে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।সেখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দাবি করে তাকে মুক্তি দিয়ে ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।এ দাবিতে গত ১৫ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি; সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।