ক্রাইমবার্তা রিপোট: নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যেই ঢাকার মগবাজারে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা বাসটিতে আগুন দেয়।
আজ শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম সাইফুল ইসলাম (৩০) বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিনি মগবাজারের কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স ছিলেন।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো: মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘গোল্ডেন প্লাস নামে একটি বাস একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ওই যুবক আহত হন। তখন আশপাশের জনতা এসে চালককে মারধর করে এবং বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
গত রোববার দুপুরে ছুটির পরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আবদুল করিম ওরফে সজীব এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিম নিহত হন। তারা রাস্তার পাশের ফুটপাথে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পথচারীরা সাথে সাথে আহতদের কাছের কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর ৯ দফা দাবিতে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলোর সাথে পরে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগের দাবিও যুক্ত হয়।
এ নিয়ে টানা ছয় দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন :
রাজধানীতে গণপরিবহন চলছে না, দুর্ভোগ
রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে যাত্রীবাহী বাস নেই বললেই চলে। বাইরের জেলাগুলো থেকেও খুব একটা বাস আসছে না। সড়কে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস চলাচল করছে। এমনই চিত্র আজ শুক্রবার সকালের।
গণপরিবহন না থাকায় বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। শত শত মানুষকে রাস্তায় হাঁটতে দেখা গেছে।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এরই মধ্যে ২০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে ঢাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোয় বাস চলাচল একেবারেই কমে যায়। এমনকি আন্তজেলা বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
গতকাল তাদের ডাকে সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সরকারি সিদ্ধান্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকে। তবু গতকাল বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সারা দেশে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামে এবং নিরাপদ সড়কের দাবি তোলে।
আজো রাজপথে শিক্ষার্থীরা
নিরাপদ সড়ক ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো আজো রাজপথে নেমেছে রাজধানীর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। নিরাপদ সড়ক দাবিতে ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন সংগঠন।
অপরদিকে সকালে ঢাকায় মিরপুরে সনি সিনেমা হলের সামনে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। হাতে প্ল্যাকার্ড বহন করে মানববন্ধন করে তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের যানবাহন চলাচল সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে দেখা যায়। অবাধ্য ট্রাফিক-ব্যবস্থাকে বশে আনতে আজকেও লাইন ধরে যান চলাচল করতে মাইকিং করে শিক্ষার্থীরা।
গত রোববার দুপুরে ছুটির পরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আবদুল করিম ওরফে সজীব এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিম নিহত হন। তারা রাস্তার পাশের ফুটপাথে গাড়ির জন্য অপো করছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পথচারীরা সাথে সাথে আহতদের কাছের কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর ৯ দফা দাবিতে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলোর সাথে পরে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগের দাবিও যুক্ত হয়।