সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় শতাধীক পরিবার পানিবন্দি!

ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ : দু’দিন থেমে থেমে ভারী বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভার দক্ষিণ কাটিয়া সরকার পাড়ার শতাধিক পরিবার। পানি উঠেছে ঘরের মধ্যে, তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কাটিয়া সরকার পাড়া গত দু’দিনের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। ড্রেনের ময়লা ও আবর্জনা উঠে এসেছে রাস্তার উপর। বসতবাড়ির আঙিনা ছাপিয়ে অনেকের ঘরের ভিতরেও পানি ঢুকছে। রাস্তা তলিয়ে গিয়ে চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে হাজারো মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি দক্ষিণ কাটিয়া সরকার পাড়ার পানি নিষ্কাশনের জন্য আরসিসি পাইপ ভেঙে সরকারি কলেজ সড়কে একটি গর্ত তৈরি হয়। এই গর্ত আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। পৌরসভার পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি প্লাস্টিকের পাইপ ঢুকিয়ে বালু ও ইট দিয়ে গর্তটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গর্ত তৈরি না হলেও প্লাস্টিকের পাইপটি ভেঙে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষ। সৃষ্টি হয়েছে জলবদ্ধতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর এলাকার ০২নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধানের জন্য পৌর মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে গেলে তারা কাজের আশ্বাস দেন ঠিকই, কিন্তু কাজ করেন না। এলাকার মানুষ স্থায়ীভাবে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য বার বার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে গেলে তিনি বলেন এজন্য বাজেট হয়ে গেছে। রোজার ঈদের পরে কালভার্ট তৈরি করে দেওয়া হবে। কিন্তু কোরবানির ঈদ চলে গেল, তারপরেও কাজ হয় নি। পানি না সরার কারণে আমার ঘরে পানি উঠেছে। এতে আসবাবপত্রসহ ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘরের ভিতরে ইট দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বাড়ির উঠানে ৮-১০ ইঞ্চি পানি জমে গেছে। ড্রেনের ময়লা পানি বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করছে। এর স্থায়ী কোন সমাধান না হলে বসবাস করা কঠিন হবে।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

Please follow and like us:

Check Also

আশাশুনিতে ইসতেসকার নামাজ আদায়

আশাশুনি প্রতিনিধি।। আশাশুনিতে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ ইসতেসকার নামাজ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।