বরিশালে সরকারদলীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা# পটুয়াখালীতে প্রতিপক্ষের স্ত্রীকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন যুবলীগ নেতার

ক্রাইমবার্তা ডেস্ক  রির্পোটঃবরিশালের উজিরপুর উপজেলায় সরকারদলীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদারকে (৫৫) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কারফা বাজারে নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে তাকে গুলি করা হয়।

নিহত বিশ্বজিৎ হালদার জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার কারফা বাজারে নিজের গার্মেন্টসের দোকানে বসেছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুখোশপরা দুর্বৃত্তরা হঠাৎ করে দোকানে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলি করে।

এ সময় বিশ্বজিৎ হালদার ও তার সহযোগী কারফা গ্রামের নিহার হালদার গুলিবদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চেয়ারম্যানকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত পৌনে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।

উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

—-0——

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের স্ত্রীকে রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন ও মেয়েকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

শুক্রবার উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ভূইয়ার হাওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বশির মোল্লার পরিবারের সঙ্গে ওই গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে।

শুক্রবার সকালে যুবলীগ নেতা বশির ওই বিরোধী জমির গাছ থেকে নারিকেল পাড়তে যান। সেখানে এসে প্রতিপক্ষ রহিম হাওলাদারের স্ত্রী হালিদা বেগম বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হালিদাকে জোরপূর্বক লোকজন নিয়ে বশির তার নিজ বাড়িতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান।

পরে বশির ও তার ভাই আলম মোল্লা তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে হালিদাকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন। এ খবর শুনে হালিদার স্বামী রহিম হাওলাদার ও তার মেয়ে রহিমা বেগম ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

এসময় মাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে রহিমার মাথায় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে রহিম হাওলাদারকেও ধরে মারধর শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদেরকে রক্ষা করে।

রহিম হাওলাদার বলেন, তারা আমার স্ত্রীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেছে। আমার মেয়েকেও কুপিয়ে আহত করেছে। আমাকেও লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। আমি এর বিচার দাবি করছি।

এ ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা বশির মোল্লা বলেন, আমাদের জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কোর্টে মামলা আছে। আমি কয়টা নারিকেল বস্তায় করে বাড়ির মধ্যে দেয়। এটা দেখে দৌড়ে এসে হালিদা আমার মাকে লাথি মারছে। তখন আমার বউ আর ভাবীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। আমরা ছাড়াইয়া দিছি। রহিমাকে কেউ কোপায়নি। রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, এ ঘটনায় আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।