যশোরে সাজানো নাশকতার মামলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত আওয়ামী সন্ত্রাসী বুলির ছেলেও আসামী!

যশোর সংবাদদাতা : যশোর বড় বাজার মাছ বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য মানুষের সামনে ইসমাইল হোসেন টেনিয়া নামে যুবদলের এক নেতাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পুলিশ সাজানো নাশকতার মামলায় দায়ের করায় হতবাক হয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। গত শনিবার দায়েরকৃত মিথ্যা নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলামসহ ৩৭ জনকে আসামী করা হয়।
ওই মামলার অপর আসামীরা হলেন-জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক অ্যাড. হাজি আনিছুর রহমান মুকুল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমীর ফয়সাল, শহরের আর এন রোডের আতাউল্লাহর ছেলে রাজিদুর রহমান সাগর, সদর উপজেলার হাশিমপুরের মৃত আমিরুল ইসলাম বুলির ছেলে মুন্না, এনায়েতপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মহিদুল, শহরের চুড়িপট্টির মৃত শহিদুল ইসলাম চৌধুরী নয়নের ছেলে রাজিবুল ইসলাম চৌধুরী রিপন, রবিকুল ইসলাম চৌধুরী সঞ্জয়, উপশহর বি-ব্লকের শান্তি জোয়ার্দ্দারের ছেলে সুমন, শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ার বদিউজ্জামান ধনি, উপশহর ডি-ব্লকের আক্কাস আলীর ছেলে আলমগীর, শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার মৃত ইকু চৌধুরীর ছেলে সুমন চৌধুরী, শংকরপুর ইসহাক সড়কের আব্দুল গনির ছেলে আরিফ, শংকরপুর সার গোডাউন এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে সোহেল মুন্সী, চাঁচড়ার শওকত ড্রাইভারের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, চাঁচড়া ডালমিল এলাকার মহিদুলের ছেলে আছাদুর রহমান তুহিন, শংকরপুর সার গোডাউন এলাকার ওহাব মুন্সীর ছেলে মকিদুল, শংকরপুর মুরগির ফার্মগেট এলাকার নুরু ব্যাপারীর ছেলে কাশেম, শংকরপুরের আব্দুল কাদেরের ছেলে জাকির হোসেন, চাঁচড়া রায়পাড়ার মৃত নুর ইসলামের ছেলে মোস্তফা কামাল শিপা, শংকরপুর বটতলা এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মাহাবুব আলী ওরফে ডিম মাহাবুব, মৃত ছবেদ আলীর ছেলে খোকন মিয়া, মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মাস্টার হাফিজুর রহমান, আকবর আলী খানের ছেলে সেলিম খান, নাজির শংকরপুর প্রাইমারি স্কুল এলাকার মগরেব আলীর ছেলে মিজু, চাঁচড়া গোলদারপাড়ার মৃত শফি মিয়ার ছেলে আলমগীর, চাঁচড়া মধ্যপাড়ার মৃত করিম বক্সের ছেলে বিল্লাল হোসেন, নান্নুর ছেলে ইমরান, চাঁচড়া শিব মন্দির এলাকার আক্কাসের ছেলে তোতা, চাঁচড়া মধ্যপাড়ার মোস্তাকের ছেলে ইমরান, চাঁচড়ার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন লাডু, আব্দুস সালামের ছেলে শাহজালাল ও মৃত আদুর ছেলে আজিজুল। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই মামলায় হাশিমপুরের আমিরুল ইসলাম বুলির ছেলে মুন্নাকে আসামি করা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ আশ্রিত সন্ত্রাসী আমিরুল ইসলাম বুলি সম্প্রতি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
গত শুক্রবার সকাল আটটার দিকে বড় বাজার মাছ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন টেনিয়াকে তার আড়ৎ থেকে ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাকে পুলিশ। অসংখ্য মানুষের সামনে থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে চাঁনপাড়া পুলিশ ক্যাম্পে রাখা হয় বলে স্বজনদের অভিযোগ। পরদিন শনিবার বিকেল চারটার পর তাকে কোতয়ালী মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পুলিশ ইসমাইল হোসেন টেনিয়াসহ বিএনপির ৩৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ এনে নাশকতার মামলা দায়ের করে।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।