চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা : যশোরে একটি কথিত নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক মামলায় যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা জামায়াতের (পশ্চিম) নায়েবে আমীর মুহাদ্দিস আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদৎ হুসাইন ও সাবেক মন্ত্রী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের পুত্র বিএনপির কেন্দ্রীয় খুলনা বিভাগীয় সহ-সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ বিএনপি জামায়াতের ৫২ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের কল্পিত সাজানো মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে কোতয়ালী থানার পুলিশ গোপন সংবাদে জানতে পারে যশোর শহরের নীলগঞ্জ সাহাপাড়ায় বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা নাশকতার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে।
এসময় পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে সবাই বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ধাওয়া দিয়ে নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে বদরুজ্জামান নামে একজনকে আটক করে। এ ব্যাপারে এসআই আমিনুর রহমান বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুকুমার কুন্ডু ৫২ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। পুলিশ চার্জশিটে বলছে ঘটনার সাথে জড়িত থাকলেও ঠিকানা না পওয়ায় ৪ জনকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। মামলায় আরো যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তারা হলেন যশোর জেলা জামায়তের (পূর্ব) আমীর মাস্টার নুরুন্নবী, সেক্রেটারি আবু জাফর,যশোর শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল, যশোর জেলা বারের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাড: গাজী এনামুল হক, অ্যাড: আব্দুল লতিফ, যশোর জেলা জামায়াতের (পশ্চিম) সেক্রেটারি অধ্যাপক নাজির হুসাইন। অন্যান্য আসামীরা হলেন শফিউর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, বদরুজ্জামান, মোহাম্মদ আলী, ফসিয়ার রহমান, মুকিতুল হক,আইয়ুব আলী, আসাদুজ্জামান,মতিয়ার রহমান, কওছার আলী, আব্দুল মজিদ, আব্দুর রহিম, মতিয়ার রহমান, মিজানুর রহমান, সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলাম, শফিকুল মাসুদ, তৌহিদুর রহমান, জুবায়ের আল মাসুদ হোসেন, সমিউল ইসলাম, আব্দুল হক , কল্লোল হোসেন, আলমগীর হোসেন, হায়দার আলী, আব্দুল হান্নান, আব্দুর রহিম, জহির উদ্দিন, আব্দুল হান্নান, আব্দুল মালেক, মহাশিন আলী, আবুল কাশেম, আশরাফ আলী, আমিনুল, মাওলানা সাইফুর রহমান, হারুন অর রশিদ, হাবিবুল্লাহ, ফিরোজ হোসেন, মনিরুজ্জামান মজনু খা, শাহিন কবির, নজরুল ইসলাম রাজ, ইব্রাহিম হাওলাদার, রব মোল্লা, মামুন হোসেন জয় ও রিয়াজ হোসেন। তবে মামলা যখন দায়ের হয় তখনই এলাকার অনেকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেছিলেন সেদিন ঐ এলাকায় এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি সবই পুলিশের বানানো গায়েবি ঘটনা।
Check Also
ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়
দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …