ক্রাইমবার্তা রিপোট: যশোর: যশোর জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেছেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত জন্মভূমি কপোতাক্ষের তীর সাগরদাঁড়িতে জাতীয় পর্যায়ের আদলে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার আয়োজন করতে জেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। এই মেলার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে শুধু মহকবিকে নয় যশোরকেও ছড়িয়ে দিতে হবে। এ জন্যে মেলায় দেশীয় সংস্কৃতি চর্”ার বদলে কোনো ধরনের অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি আরো বলেন মেলায় জুয়া হাউজিসহ যে কোনো অনৈতিক কর্মকান্ডকে শক্তহাতে প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনবোধে মেলার মাঠ ইজারাও বন্ধ হতে পারে। সাগরদাঁড়িতে আয়োজিত মধুমেলা কোনো লাভজনক ইভেন্ট নয় বরং তা দেশি বিদেশি মধুপ্রেমীদের তীর্থস্থান। সে সুনাম অক্ষন্ন রেখে সব মানুষের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্মরণযোগ্য মেলার আয়োজনে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। মধুমেলা উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভার সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
সোমবার বেলা এগারটায় যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষে মধুমেলার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গত মধুমেলার বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন সহকারী কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) কাজী নাজিব হাসান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনসার উদ্দিন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পাল, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানূর
রহমান, কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন, যশোর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডি এম শাহিদুজ্জামান, সুরধুনীর সভাপতি হারুন-অর-রশীদ, কবি ও মধু গবেষক খসরু পারভেজ, সাংবাদিক তহীদ মনি প্রমুখ।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগামী বছরের ২২ থেকে ২৮ জানুয়ারি মধুমেলার আয়োজন করা হবে। তবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও ভোট পরবর্তী অবস্থা বিবেচনা করে মেলার তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। সভায় যশোরের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগামী বছরের ২২ থেকে ২৮ জানুয়ারি মধুমেলার আয়োজন করা হবে। তবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও ভোট পরবর্তী অবস্থা বিবেচনা করে মেলার তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। সভায় যশোরের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।