ক্রাইমবার্তা রিপোট:নরসিংদীর সদর উপজেলার চরাঞ্চল করিমপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের টেঁটাযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
বৃহস্পতিবার সকালে করিমপুর ইউনিয়নের বগারগোত গ্রামে ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাচ্চু মিয়া এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল সরকারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বগারগোত গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আনোয়ার আলী (৪৫) ও একই গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে মোতালিব মিয়া (৪০)।
নিহত আনোয়ার আলী ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়ার এবং মোতালিব আওয়ামী লীগ নেতা কামাল সরকারের সমর্থক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত বগারগোত গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাচ্চু মিয়া ও কামাল সরকারের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
এরই জের ধরে বেশ কয়েকবার টেঁটাযুদ্ধের ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
সর্বশেষ গত ৬ মাস আগে টেঁটাযুদ্ধে বাচ্চু মেম্বারের সমর্থক মঙ্গল মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।
এ ঘটনায় ৪৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মামলায় গতকাল বুধবার সব আসামি আদালতে হাজির হলে কামাল সরকারসহ ১৩ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় আদালত। বাকি ৩০ জন জামিন পান।
জামিনের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চু মেম্বারের শতাধিক সমর্থক আজ সকালে আওয়ামী লীগ নেতা কামাল সরকারের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায়।
এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে বাচ্চু মেম্বারের সমর্থক আনোয়ার আলী (৪৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হন উভয় পক্ষের মোতালিব (৪০), কামাল (৪০), আক্কেল আলী (৬০), রহমত আলী (৬৫), শফিক (৪৫) ও ইমান আলীসহ (৪০) অন্তত ১০ জন।
আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশংকাজন অবস্থায় চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মোতালিবের মৃত্যু হয়।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।