সাতক্ষীরায় ৫৭৪ টি মন্ডপের মধ্যে ১৫৩টি ঝুঁকিপূর্ণ

ক্রাইমবার্তা রিপোট:    কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে  জেলার সাতটি উপজেলার ৫৭৪টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে ১৫৩টি মণ্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে শারদীয় উৎসব উদযাপনে নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে জেলাব্যাপী মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গার মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। অধিকাংশ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে, চলছে রঙ তুলির কাজ।

শারদীয় দুর্গা উৎসবকে ঘিরে উৎসবে মেতে উঠেছে উপজেলার হিন্দু স¤প্রদায়ের শিশু, তরুণ, যুবক ও বৃদ্ধারা। আগামী ১৫ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে পূজা শুরু হবে এবং ১৯ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের শ্যামসুন্দর মন্দির, মাগুরা কর্মকারপাড়া মন্দির, বিনেরপোতা মন্দির, গোপিনাথপুর মন্দির, কালিমাতা মন্দিরসহ সর্বত্র ভাস্কর্য শিল্পীরা মূর্তি তৈরির শেষ সময়ের কাজে নির্ঘুম কাজ করছেন। রঙ তুলির আচড়ে প্রতিমাগুলো হয়ে উঠছে আকর্ষণীয়। সবকিছু মিলিয়ে জেলার পূজা মণ্ডপগুলোতে বিরাজ করছে শারদীয় আমেজ।

সূত্র জানায়, এ বছর জেলার ৫শ ৭৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১শ ৫৩টি মণ্ডপ ঝুকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে জেলা পুলিশ।

সূত্র মতে, সাতক্ষীরা সদরের মোট ১শ ৫টি মণ্ডপের মধ্যে ৩৬টি, কলারোয়ায় ৪২টি মণ্ডপের মধ্যে ২২টি, তালায় ১০৪টি মণ্ডপের মধ্যে ৪০টি, পাটকেলঘাটায় ৭৮টি মণ্ডপের মধ্যে ৩টি, আশাশুনিতে ১০৭টি মণ্ডপের মধ্যে ১৪টি, কালিগঞ্জে ৫২টি মণ্ডপের মধ্যে ২২টি ও শ্যামনগর থানায় ৬৬টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে ১৬টি পূজামণ্ডপ ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও দেবহাটা থানায় ২০টি পূজামণ্ডপ শারদীয় উৎসব উদযাপন করা হবে।

শহরের মায়ের বাড়ি মন্দির কমিটির সদস্য সুজন কুমার জানান, মায়ের বাড়িতে মূল প্রতিমার পাশাপাশি অতিরিক্ত কয়েকটি মূর্তি তৈরির কাজ চলছে। মাটির কাজের পর রঙ টানার কাজও শেষ হয়েছে। আশা করছি, স্মরণকালের সবচেয়ে উৎসবমূখর হবে এবারের পূজা।

সাতক্ষীরা পুলিশের ডিআইও ওয়ান আজম খান বলেন, “পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজামণ্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে মণ্ডপগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য, ব্যাটালিয়ান আনসার এবং পুলিশের মোবাইল টিম মোতায়েন করা হবে। প্রতিটা মোবাইল টিমে ৫জন করে সশস্ত্র পুলিশ সদস্যসহ একজন করে সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরগুলোতে সার্বক্ষণিক একজন করে সাব ইন্সপেক্টর থাকবে। পাশাপাশি সব মন্দিরে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবে।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।