ক্রাইমবার্তা রিপোটঃসাতক্ষীরাঃদক্ষিণাঞ্চলসহ গোটা দেশে পোল্ট্রি ডিমের বাজারে নৈরাজ্য চলছে। যশোর, পাবনা, ফরিদপুর ও উত্তরবঙ্গের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রীতিমত সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে চলেছে। গত দু’মাসের ব্যবধানে ৫ টাকার ডিমের খুচরা দাম হাকা হচ্ছে প্রতি পিস ৯ টাকা।
ক্ষুদ্র ডিম ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগীদের দাবি, সিন্ডিকেটের কারণে ডিমের বাজার অস্থির রয়েছে। যে কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় এ ভোগ্য পণ্যটির বাজার এখন বেশামাল রুপ নিয়েছে। এ ব্যাপারে কার্যকরি ব্যবস্থা নিতে দ্রুতই মাঠে নামছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
মানুষের আমিষ চাহিদার বিশাল একটি অংশ পূরণ করছে পোল্ট্রি ডিম। প্রতিদিনই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের আমিষের যোগানে এই ডিম ভূমিকা রেখে আসছে। অথচ গত দেড় থেকে দু’মাসের ব্যবধানে এই ডিমের দাম প্রায় দিগুন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্য মিলেছে,সাতক্ষীরা, যশোর শহরসহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি, পাবনাসহ উত্তর বঙ্গের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আধিপত্য বিস্তার করে আছে ডিম বাজারে। মাঝে মধ্যে পাবনাসহ দক্ষিণবঙ্গের ডিম যশোরে প্রবেশ করলে ডিমের দাম কিছুটা কমে। সেই সময়ে বাজারটি ধরে রাখতে এ অঞ্চলের একটি প্রতিষ্ঠান হুট করে দাম কমিয়ে দেয়। যে কারণে দক্ষিণবঙ্গের বাজারে অন্য কোন জায়গার ডিম নিয়ে এসে ব্যবসায়ীরা সুবিধা করতে পারে না। অনেক ছোট ব্যবসায়ী এ ডিমের ব্যবসা করতে গিয়ে পথে বসেছেন। সরকারি কোনো বাজার তদারকি না থাকার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন।
বর্তমানে বাজারে প্রতিটি লাল পোল্ট্রি মুরগির ডিমের খুচরা মুল্য সাড়ে ৮টা থেকে ৯টাকা। প্রতিটি সাদা পোল্ট্রি মুরগির ডিমের খুচরা বাজার মুল্য ৮টাকা থেকে সাড়ে ৮টাকা। প্রতিটি দেশি মুরগীর ডিমের খুচরা বাজার মুল্য ১০টাকা। প্রতিটি দেশি হাঁসের ডিমের খুচরা বাজার মূল্য ১১ টাকা। প্রতিটি কোয়েলের ডিমের খুচরা বাজার মুল্য আড়াই টাকা বিক্রি হচ্ছে।
তবে বাজারে হাঁস-মুরগির খাবারের দাম খুব একটা না বাড়লে
মানুষের আমিষ চাহিদার বিশাল একটি অংশ পূরণ করছে পোল্ট্রি ডিম। প্রতিদিনই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের আমিষের যোগানে এই ডিম ভূমিকা রেখে আসছে। অথচ গত দেড় থেকে দু’মাসের ব্যবধানে এই ডিমের দাম প্রায় দিগুন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্য মিলেছে,সাতক্ষীরা, যশোর শহরসহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি, পাবনাসহ উত্তর বঙ্গের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আধিপত্য বিস্তার করে আছে ডিম বাজারে। মাঝে মধ্যে পাবনাসহ দক্ষিণবঙ্গের ডিম যশোরে প্রবেশ করলে ডিমের দাম কিছুটা কমে। সেই সময়ে বাজারটি ধরে রাখতে এ অঞ্চলের একটি প্রতিষ্ঠান হুট করে দাম কমিয়ে দেয়। যে কারণে দক্ষিণবঙ্গের বাজারে অন্য কোন জায়গার ডিম নিয়ে এসে ব্যবসায়ীরা সুবিধা করতে পারে না। অনেক ছোট ব্যবসায়ী এ ডিমের ব্যবসা করতে গিয়ে পথে বসেছেন। সরকারি কোনো বাজার তদারকি না থাকার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন।
বর্তমানে বাজারে প্রতিটি লাল পোল্ট্রি মুরগির ডিমের খুচরা মুল্য সাড়ে ৮টা থেকে ৯টাকা। প্রতিটি সাদা পোল্ট্রি মুরগির ডিমের খুচরা বাজার মুল্য ৮টাকা থেকে সাড়ে ৮টাকা। প্রতিটি দেশি মুরগীর ডিমের খুচরা বাজার মুল্য ১০টাকা। প্রতিটি দেশি হাঁসের ডিমের খুচরা বাজার মূল্য ১১ টাকা। প্রতিটি কোয়েলের ডিমের খুচরা বাজার মুল্য আড়াই টাকা বিক্রি হচ্ছে।
তবে বাজারে হাঁস-মুরগির খাবারের দাম খুব একটা না বাড়লে
ও প্রতিদিন ডিমের দাম বেড়েই চলেছে। হাঁস-মুরগির খাবারের বস্তা প্রতি ১০টাকা বাড়লেও ডিমের হালি প্রতি বাড়ানো হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা ।
যশোর রেল গেটের দোকান ব্যবসায়ী ফরহাদ জানান, বড় বড় ডিম ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে এ ডিমের বাজারটিকে ধ্বংস করছে। এখন পুরো বাজারটি নিয়ন্ত্রণ করেছে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেট লাখ লাখ ছোট ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়েছে। আজ যদি প্রতিটি ডিমের পাইকারী বাজার মূল্য সাড়ে ৮ টাকা হয়, কাল সেই ডিমের দাম ৮টাকা করা হচ্ছে। এতে দোকানদার ও ক্রেতা উভয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছেন। যে কারণে দোকানে ডিম তুলতেও ভয় করছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।
যশোরের অপর ডিম ব্যবসায়ী স্বজল জানান, এ ডিম ব্যবসা করতে গিয়ে তিনি পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন। তিনি পাবনা ও সাতক্ষীরা থেকে ডিম নিয়ে এসে বাজারের বিভিন্ন জায়গার দোকানদারদের দিতেন। যখন বাজারে বাইরের ডিম ঢোকে তখন একটি প্রতিষ্ঠান ডিমের দাম কমিয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে তিনিও সেই সময় ক্ষতিসাধান করে দোকানদারদের কাছে কম দামে ডিম বিক্রি করেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজের মূলধন খুঁইয়ে ফেলেন।
এছাড়া ডিম ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস, সিরাজুল, সফিসহ একাধিক ডিমের ডিলার ও ব্যবসায়ী জানান, বড় বড় শিল্পপতিদের কাছে ডিম সেক্টর জিম্মি হয়ে পড়েছে। আগে বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট মুরগির খামার ছিল। তারা নিজেরা নিজেদের শ্রম দিয়ে ডিম উৎপাদন ও বাজারজাত করতেন। বড় বড় ব্যবসায়ীর সাথে প্রতিযোগিতায় ঠিকতে না পেরে সে সব খামার অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে বাজারটা এখন গুটি কতক ব্যবসায়ীর দখলে চলে গেছে। তারা বাজারটাকে যেভাবে চালাবে বাজার সেভাবে চলবে। তারা যদি মনে করে আজকে প্রতিটি ডিমের বাজার দর ৫টাকা হবে তাহলে ৫টাকা। যদি মনে করে প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকা হবে তাহলে ১০ টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষকে ডিম কিনে খেতে হবে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভবতোষ কুমার সরকার গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, দুঃখজনকভাবে বেসরকারি বড় ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হঠাৎ হঠাৎ করে ডিমের দাম বাড়িয়ে দেয় সিন্ডিকেট করে। এর নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে সরকারের হাতে নেই। তবে দ্রুতই এই নৈরাজ্য রুখে দিতে মাঠে নামবে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর। সরকারিভাবে ভর্তূকি দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিম উৎপাদন করে কম দামে বাজারে ডিম ছাড়লেই এই নৈরাজ্য রোধ হতে পারে। যেমন ওএমএস চাল বাজারে অনুকুল প্রভাব ফেলে। এছাড়া ব্যবসায়ী ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সংলাপ ও সমন্বয় করে মূল্য কম রাখা যায় কিনা সে ব্যাপারেও নীতি নির্ধারকদের সাথে কথা বলবেন তিনি।
যশোর রেল গেটের দোকান ব্যবসায়ী ফরহাদ জানান, বড় বড় ডিম ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে এ ডিমের বাজারটিকে ধ্বংস করছে। এখন পুরো বাজারটি নিয়ন্ত্রণ করেছে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেট লাখ লাখ ছোট ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়েছে। আজ যদি প্রতিটি ডিমের পাইকারী বাজার মূল্য সাড়ে ৮ টাকা হয়, কাল সেই ডিমের দাম ৮টাকা করা হচ্ছে। এতে দোকানদার ও ক্রেতা উভয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছেন। যে কারণে দোকানে ডিম তুলতেও ভয় করছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।
যশোরের অপর ডিম ব্যবসায়ী স্বজল জানান, এ ডিম ব্যবসা করতে গিয়ে তিনি পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন। তিনি পাবনা ও সাতক্ষীরা থেকে ডিম নিয়ে এসে বাজারের বিভিন্ন জায়গার দোকানদারদের দিতেন। যখন বাজারে বাইরের ডিম ঢোকে তখন একটি প্রতিষ্ঠান ডিমের দাম কমিয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে তিনিও সেই সময় ক্ষতিসাধান করে দোকানদারদের কাছে কম দামে ডিম বিক্রি করেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজের মূলধন খুঁইয়ে ফেলেন।
এছাড়া ডিম ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস, সিরাজুল, সফিসহ একাধিক ডিমের ডিলার ও ব্যবসায়ী জানান, বড় বড় শিল্পপতিদের কাছে ডিম সেক্টর জিম্মি হয়ে পড়েছে। আগে বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট মুরগির খামার ছিল। তারা নিজেরা নিজেদের শ্রম দিয়ে ডিম উৎপাদন ও বাজারজাত করতেন। বড় বড় ব্যবসায়ীর সাথে প্রতিযোগিতায় ঠিকতে না পেরে সে সব খামার অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে বাজারটা এখন গুটি কতক ব্যবসায়ীর দখলে চলে গেছে। তারা বাজারটাকে যেভাবে চালাবে বাজার সেভাবে চলবে। তারা যদি মনে করে আজকে প্রতিটি ডিমের বাজার দর ৫টাকা হবে তাহলে ৫টাকা। যদি মনে করে প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকা হবে তাহলে ১০ টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষকে ডিম কিনে খেতে হবে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভবতোষ কুমার সরকার গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, দুঃখজনকভাবে বেসরকারি বড় ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হঠাৎ হঠাৎ করে ডিমের দাম বাড়িয়ে দেয় সিন্ডিকেট করে। এর নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে সরকারের হাতে নেই। তবে দ্রুতই এই নৈরাজ্য রুখে দিতে মাঠে নামবে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর। সরকারিভাবে ভর্তূকি দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিম উৎপাদন করে কম দামে বাজারে ডিম ছাড়লেই এই নৈরাজ্য রোধ হতে পারে। যেমন ওএমএস চাল বাজারে অনুকুল প্রভাব ফেলে। এছাড়া ব্যবসায়ী ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সংলাপ ও সমন্বয় করে মূল্য কম রাখা যায় কিনা সে ব্যাপারেও নীতি নির্ধারকদের সাথে কথা বলবেন তিনি।