নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে যৌতুকের অযুহাতে স্ত্রীকে মারপিট করে পরকীয়ার প্রেমিকাকে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন নাটোর উত্তরবঙ্গ হেলথ সেন্টারের ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান। নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মমিনপুর বড়সিঙ্গা গ্রামের মোঃ জালাল উদ্দিনের ছেলে ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমানের আট বছর আগে বড়গাছা এলাকার আব্দুল মজিদের ছোট মেয়ে মোছাঃ মাহফুজা মুতাহারা মিতুর সাথে বিয়ে হয়। শহরের কানাইখালীতে দুই বছর ধরে ডাঃ মিজানুরের বড় বোনের মালিকানাধীন উত্তরবঙ্গ হেল্থ সেন্টারে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন। মিজানদের দুই-তিন বছর বিবাহিত সংসারে মোঃ মাহফুজুর রহমান নামে (৪) বছরের একটি ছেলে রয়েছে। উত্তরবঙ্গ হেল্থ সেন্টারে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার সুবাদে সেখানে পরিচয় হয় নাটোরের কাঠালবাড়িয়ার মোঃ জালাল উদ্দিনের মেয়ে হুমায়রা জ্যোতির সাথে। কিছুদিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গতা গড়ে উঠে এবং এরই এক পর্যায়ে শুরু হয় পরকিয়া। এদিকে যৌতুকের টাকার জন্য মিজান তার স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে অন্যায় অত্যচার করতে থাকে। মেয়ের বাবা আব্দুল মজিদ জানান, মেয়ের সুখের কথা ভেবে তিনি বিয়ের সময় তিনলাখ টাকা যৌতুক দিয়েছেন। এর পরেও জামাই আরও পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিল। ওই টাকা দেওয়া না হলে মেয়েকে তালাক দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়। এমনকি এ ব্যাপারে কয়েক বার পারিবারিক ভাবে মিমাংসা করেও কোন লাভ হয়নি। গত শুক্রবার সকালে চেম্বারে রোগী দেখার সময় তার কোথিত প্রেমিক সেখানে এলে পরিবারের লোকজন তাদের দেখে ফেলে প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিজান ও তার প্রেমিকা জ্যোতি মিলে ডাঃ মিজানুর রহমানের স্ত্রী মিতাকে মারধর করে পালিয়ে যায়। এর পর থেকেই ডাঃ মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে শুক্রবারেই তাদোর দু’জনার নামে নাটোর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
Check Also
সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন
ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …