ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সমসাময়িক রাজনৈতিক খরার মধ্যে থেকেও মাহী বি চৌধুরীর অহমিকাবোধ কমেনি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীপুত্র শামীম সাঈদী।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তার বাবা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কারাগারে রয়েছেন।
শনিবার সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীর ছেলে মাহী বি চৌধুরীর সঙ্গে তার একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা ও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ভাইরাল হয়ে পড়া ছবিটি প্রসঙ্গে মাহী বি চৌধুরী বলেন, ‘ছবিটি সাঈদীপুত্র শখের বশে তুলেছেন। আমি তাকে চিনি না।’
মাহীর এমন বক্তব্যে শামীম সাঈদী এ কথা বলেন।
ছবিটি ও মাহীর বক্তব্য প্রসঙ্গে রাত ২টার দিকে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন- ‘ভাইরাল হওয়া ছবিটি গতকালই আমার নজরে আসে। এ ছবি নিয়ে আমার কোনো অনুভূতি তৈরি হয়নি।’
ছবিটিকে আর সব সাধারণ ছবির মতোই মনে হয়েছে শামীম সাঈদীর।
কারণ হিসেবে তিনি যুক্তি দেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কট্টর বিরোধী দল বা মতাদর্শের ব্যক্তিদের সঙ্গে একই মঞ্চে কিংবা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেক বড়মাপের ব্যক্তিদের অহরহ যুগল ছবি থাকে বা আছে।
ইন্টারনেট সার্চ করলে এ রকম অসংখ্য বিপরীত মতাদর্শের লোকদের যুগল ছবি পাওয়া যায়।
বলা যায় এটি একটি নিয়মিত সৌজন্যতা বোধ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
হঠাৎ করেই অনেক আগের তোলা এ ছবিটি কে বা কারা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ছবিটি নিয়ে আমাকে সাংবাদিক প্রশ্ন করবে বা আমাকে কিছু বলতে হবে বা লিখতে হবে এটি আমি মোটেও ভাবিনি।’
তিনি আরও জানান, ‘বহুল প্রচারিত কিছু দৈনিকে এ ছবি ছাপিয়ে সংবাদ করা হবে সেটিও আমার কল্পনায় আসেনি।’
মাহী বি চৌধুরী তাকে চেনেন না প্রসঙ্গে শামীম সাঈদী বলেন, ‘মাহী নিজেকে যথেষ্ট উঁচু জায়গায় রেখে কথা বলেছেন। তিনি উঁচু স্তরের মানুষই বটে!
সাঈদীপুত্র আরও বলেন, ‘মাহী বি চৌধুরী আমাকে চেনেন কি চেনেন না সেটি তিনিই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি তাকে এবং তার শ্রদ্ধেয় বাবাকে খুব ভালোভাবে চিনি। তার বাবা আমাদের বাসায় কয়েকবার এসেছেন।
তাদের বাসায় আমরাও কয়েকবার গিয়েছি। সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী আমাকে স্নেহ করেন। আমি তাদের শ্রদ্ধা করি।’
বিষয়টিতে মাহীর অহমিকা প্রকাশ পেয়েছে মন্তব্য করে শামীম সাঈদী বলেন, জনগণ মাহীর এমন অহমিকা মোটেও পছন্দ করেন না।
তিনি মাহীর প্রতি অনুরোধ করেন, নিউজ পোর্টালের করা নিউজগুলোর কমেন্টগুলো একটু ভালো করে পড়ুন, তার পর নিজেকে সেই জায়গা থেকে মাপুন।
ছবিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণত বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিরোধী মতাদর্শের ব্যক্তিদের প্রতি পারস্পরিক রাজনৈতিক সম্মানবোধের প্রবণতার সংস্কৃতি খুবই দুর্লভ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ ঘটিয়ে ছবিটি সুস্থ রাজনীতি চর্চার ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করতে পারত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সাবেক সাংসদ মাহীর প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে- নিজেকে মাপুন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আপনার বাবা, এই স্থান থেকে নয়; নিজের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করুন। নিজের জায়গা বুঝুন তার পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করুন। অন্তত জনগণের হাসির খোরাকে পরিণত না হওয়ার চেষ্টা করুন।’