ক্রাইমবার্তা রিপোট:
এক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপে ১৪ দল থেকে যেসব নেতারা অংশ নেবেন তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এক নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের ২০জন নেতা অংশ নেবেন।বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংলাপে উপস্থিত থাকবেন ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, দিলীপ বড়ুয়া , রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মাঈনুদ্দিন খান বাদল, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, মাহবুবউল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আব্দুর রহমান, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, হাছান মাহমুদ, অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম।
এর আগে মঙ্গলবার মতিঝিলে প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের এক বৈঠকে সংলাপে ১৬ সদস্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে, সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের দলনেতা হিসেবে থাকবেন ড. কামাল হোসেন।
বিএনপি থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার রয়েছেন। নাগরিক ঐক্য থেকে রয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না ও এসএম আকরাম।
গণফোরাম থেকে রয়েছেন মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী। জেএসডি থেকে আছেন আ স ম আব্দুর রব, আব্দুল মালেক রতন ও তানিয়া রব। ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে আছেন সুলতান মুহাম্মদ মনসুর ও আ ব ম মোস্তফা আমিন। আর স্বতন্ত্র হিসেবে রয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আরো পড়ুন : শেখ হাসিনা সব দলের সাথে সংলাপে বসতে আন্তরিক : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক এবং তিনি সব দলের সঙ্গে সংলাপ করতে চান বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংলাপের বিষয়ে আন্তরিক। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্ট ছাড়াও অন্য দলগুলোর সাথে তিনি আলোচনায় বসতে চান। যেসব দল সংলাপে বসার প্রস্তাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী তাদের সাথেই সংলাপে বসতে আগ্রহী।’
ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি অ্যানিক বর্ডিন এবং জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোতির সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও অন্যান্য দলের সাথে আওয়ামী লীগ সংলাপের পক্ষে ছিল না। কিন্তু আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শিতার মাধ্যমে সংলাপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিষয়টি দলমত নির্বিশেষে দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের উদ্যোগকে বিশ্ব সম্প্রদায় স্বাগত জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বিএনপির সাথে সংলাপ হবে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপটা তো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপেই কাভার হয়ে যাবে। তাছাড়া সময়ও নেই। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে যদি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে যায় তাহলে তো বেশি সময় পাওয়া যাবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি মামলার রায় ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে সংলাপে এই বিষয়ে আলোচনা কী হতে পারে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আদালতের। এটির সাথে সংলাপকে সম্পৃক্ত করা বোধ হয় ঠিক হবে না। তবে আলোচনার সুযোগ আছে। সংলাপে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার আছে থাকবে। তবে সরকারের কাজ সংকুচিত হয়ে যাবে। ইলেকশন কমিশনের আচরণবিধি আমরা সবাই মেনে চলবো।
আরো পড়ুন : এবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে বসতে চান এরশাদ
এবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে বসতে চান জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
সম্মিলিত জাতীয় জোটের পক্ষ থেকে তিনি সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
আজ বুধবার জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায় এ চিঠি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে যান।
এর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠান ড. কামাল হোসেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টকে ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান।
গতকাল সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠান বিকল্পধারার সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দৌজা চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী তাদের ২ নভেম্বর রাতে আলোচনার আমন্ত্রণ জানান।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপের আগ্রহ জানিয়ে বুধবার চিঠি দিলেন জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।