ছোট পরিসরে আবারও সংলাপ হতে পারে : ওবায়দুল কাদের

ক্রাইমবার্তা রিপোর্টঃ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাতের সংলাপে কিছু বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। চাইলে ছোট পরিসরে আবারও সংলাপ হতে পারে।

আজ শুক্রবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি এলাকায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্ভিস এরিয়া-১ এর ভিজিটর সেন্টার উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আলেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দরজা সবসময় খোলা রয়েছে।

 

আরো পড়ুন : সংলাপে যা বলেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা

০২ নভেম্বর ২০১৮

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হলেও এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল বলেন, সংলাপে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে কোন কিছুই বলেননি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, এ বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে আলাপ-আলোচনা হতে পারে।

সংলাপ শেষে ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সংলাপ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি আগেই বলেছি সংলাপে সন্তুষ্টি হইনি।

তিনি আরো বলেন, আমরা নির্বাচনের তফসিল পেছানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। তিনি বলেছেন, এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হওয়া এ সংলাপ রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত চলে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২১ নেতা। সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন।

সংলাপ শেষে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে গণভবন থেকে সংলাপ বের হয়ে আসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এরপর ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তারা।

এসময় ড. কামাল বলেন, সংলাপে আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরেছি, অভিযোগের কথা, সেগুলো তুলে ধরেছি। সবার কথা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী লম্বা বক্তৃতা দিলেন। সংলাপে বিশেষ কোনো সমাধান আমরা পাইনি।

সংবাদ সম্মেলনে আলোচনার বিষয়ে একটি লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন গণফোরামের এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। তিনি বলেন, সাংবাদিক বন্ধুগণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজকের যে আলোচনা, আমরা মনে করি এটা দীর্ঘ সময় ধরে হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। শুরুতে ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা তিনি সূচনা বক্তব্য রেখেছেন। এরপরেই আমাদের জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতারাও বক্তব্য রেখেছেন।

সুব্রত চৌধুরী আরো জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা শহরসহ সারাদেশে সভা সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির উপর কোন বাঁধা থাকবে না। রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে সভা-সমাবেশ করতে চাইবে, তাদের কোন বাঁধা দেবেন না। এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন।

উত্থাপিত দাবি নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

ঐক্যফ্রন্টের আরেক শীর্ষ নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেন, আমরা সাত দফা দিয়েছি, মানা না মানা দায়িত্ব হলো সরকারের। আমাদের কর্মসূচি আমরা দিয়েছি, সেটা অব্যাহত থাকবে।

 

Check Also

বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন

দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।