দাবি না মানলে সাত দফা পরিণত হবে সরকার পতনের এক দফায়

মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় বার সংলাপে বসতে আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, সংকট সমাধানে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। যেহেতু বিরোধী জোটের দাবিগুলোর কোনটিই আমলে নেয়া হয়নি তাই সংলাপে বসতে প্রধানমন্ত্রীকে ফের চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপি সরকারের সাথে চলমান সংলাপে আস্থা রাখতে পারছে না। গত কয়েকদিন ধরেই ঐক্যফ্রন্ট নেতারাও বলেছেন, সরকার সংলাপের নামে ‘প্রতারণা’ করছে। জানা গেছে, সংলাপ ব্যর্থ হবার পর ফ্রন্টের নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। সেখানে আলোচনার পথকে সামনে রেখে আন্দোলনকে সমাধান হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়েছে। তবে সরকার যদি ঐক্যফ্রন্টের মূল দাবিগুলোর অন্যতম সংসদ ভেঙ্গে দেয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দীদের মুক্তি ও মাঠ পর্যায়ে লেভেল প্ল্যায়ং ফিল্ড এর দাবি মেনে নেয় তাহলেই কেবল আন্দোলনের চিন্তা বাদ দেয়া হবে। রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তফসিল ঘোষণা হলেই পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। সরকার ক্ষমতায় থাকলেও সেই পরিস্থিতি উৎরানো সম্ভব হবে না।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির  বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। বিএনপির হাইকমান্ড ইতিমধ্যে তাদের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বার্তা দিয়েছেন। বার্তায় বলা হয়েছে, গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, জেলা, পৌরসভাসহ সকল পর্যায়ে যার যার অবস্থান থেকে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আন্দোলনের মাঠে আমাদের দেখা হবে। রাজপথ ছাড়া আমাদের কোন গত্যন্তর নেই। এই সরকার সংলাপের নামে কালক্ষেপণ করছে। আন্দোলন থেকে বিমুখ করার জন্য প্রহসন চালাচ্ছে। দাবি না মানলে সাত দফাকে সরকার পতনের এক দফায় রূপান্তরিত করতে হবে। সূত্রটি আরও জানায়, বেগম খালেদা জিয়া কারা সেল থেকে এমন বার্তা পাঠিয়েছেন। এছাড়া গত ৩০ অক্টোবর লন্ডনে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের  নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরই গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে সংলাপ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলা হয়েছে, আর সংলাপ নয়, রাজপথের আন্দোলনেই সমাধান আসবে। এ জন্য ৬ নবেম্বর রাজধানীতে অনুষ্ঠিতব্য জনসভা থেকে কঠোর বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদ, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকেও একই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।  এসব বৈঠক থেকে এবার আন্দোলনে জেলাগুলোর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ২০ দলীয় জোটের উপর আস্থা রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের সমাধান হোক। তবে সেটি সরকার করবে না। তিনি জানান, এটা স্পষ্ট যে, এখন যে সংলাপ চলছে সেটা হলো সরকারের কালক্ষেপণের একটা কৌশল। বিএনপি আর সংলাপ নিয়ে আশার আলো দেখছে না। সংলাপে কোন সমাধান হবে না। আন্দোলন ও নির্বাচন দুটি বিষয়কে সামনে রেখেই অগ্রসর হবো আমরা। আমাদের হাইকমান্ড থেকে নির্দেশনা আছে আন্দোলনের। এনিয়ে একটা পথনকশাও আছে আমাদের হাতে। আন্দোলনেই সমাধান আসবে। তিনি আরো বলেন, সরকারি দল চাইলে আবার আমরা গণভবনে যাবো। কারণ সংলাপ ব্যর্থ হওয়ার দায় আমরা নিবো না। আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা নিয়ে ইতোমধ্যে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে আমাদের নেতাদের আলোচনা হয়েছে। তবে এবার আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।
জানা গেছে, সম্প্রতি সরকারের মনোভাব  বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। এই দুই নেতাই সংলাপে সমাধানের কোনো পথ দেখছেন না বলে জানা গেছে। তারা দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেন। এদিকে জানা গেছে, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে রূপরেখা তৈরি করেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ছোট পরিসরে ফের সংলাপ হলে তিনি রূপরেখা প্রধানমন্ত্রীকে দেবেন। এরই মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখার একটি কপিও প্রস্তুত করা হয়েছে। সংলাপ না হলে বাহক মারফত প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
এই প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সংলাপ নিয়ে আমরা যতটা আশাবাদি ছিলাম ততটাই হতাশ হয়েছি। আমাদের কোন দাবিই মানা হয়নি। ফলে আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব না হলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি পূরণ করতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সংলাপে কোন দাবি পূরণ হবে বলে মনে হচ্ছে না। নেত্রীকে মুক্ত করতে চাইলে, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাইলে আন্দোলন করতে হবে। তা শুরু হবে উপযুক্ত সময়েই। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সংলাপের ফলাফল কি হবে তা এখন দেশের মানুষ চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারে। এর ফল শূন্য। এটা একটা তামাশা। ঐক্যফ্রন্ট নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সংলাপ ফলপ্রসূ হয়নি। আমরা দাবি পেশ করেছি, প্রধানমন্ত্রী পরোক্ষভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। উনি আমাদের আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। আমরা দাবি আদায়ে লড়াই করবো। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো। তবে সংলাপও চলতে হবে।
সূত্র মতে, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সরকারের সাথে দ্বিতীয় দফা সংলাপে রাজি। সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক কথাও হয়েছে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের। তারই অংশ হিসেবে গতকাল প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠিও দেয়া হয়েছে। বিএনপির একটি পক্ষ চায় দ্বিতীয় দফায় সংলাপ হোক। তাদের মূল দাবি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টির সুরাহা হলে অন্যান্য বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব বলে তারা মনে করে। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সরকারের হাইকমান্ড বিএনপির কাছ থেকে নিশ্চয়তা পেলে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির অন্যগুলোর আংশিক কিছু বিষয়েও ইতিবাচক সাড়া দেবে বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক সমঝোতা হলে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি সম্ভব কি না জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, আপিল বিভাগে খালেদা জিয়াকে জামিন চাইতে হবে। তিনি বলেন, ইতিহাসে নজির আছে, যে দলের প্রধান কারারুদ্ধ ছিলেন সেই দল ভোটের ময়দানে সুবিধা পেয়েছে। জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, যদি রাজনৈতিক সমঝোতা হয়, তাহলে জুডিশিয়ারিকে এই রাজনৈতিক সমঝোতার অন্তরায় হতে কখনো দেখিনি। অবশ্যই খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পেতে পারেন। তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য প্যারলে মুক্তির ব্যবস্থাও রয়েছে।
এদিকে আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা চাইলে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতেই পারেন। গতকাল রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন তিনি। মামলার সঙ্গে নির্বাচনকে যুক্ত করার কোনো যুক্তি নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মামলা আমরা করিনি, আমরা দণ্ড দেইনি, সেখানে মুক্তি দিতেও পারি না। আদালতে তারা চেষ্টা করুন, যদি কোনো অপশন ওপেন থাকে তাহলে আদালতে লিগ্যাল ব্যাটেলে যেতে পারেন। তার ৩০টির মত মামালার জামিন হয়ে গেছে, সরকার কি বাধা দিয়েছে? এই মামলায় যে রায় হয়েছে জামিন পাবে কিনা তা উচ্চ আদালত বলতে পারবে। ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপের চিঠির প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাকে গণফোরামের সেক্রেটারি জানিয়েছেন, চিঠি দিয়েছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করব, সংলাপে বেশি সময় নিতে চাচ্ছি না। এরপর ইলেকশন রিলেটেড অ্যাকটিভিটি আছে। ছোট পরিসরে আলোচনা করা যায়। সেদিনও একই কথা হয়েছে.. আলোচনার দুয়ার তো বন্ধ হবে না। আমরা বলেছি অব্যাহত থাকবে।
দ্বিতীয় দফায়ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জোটের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, কিছুই করি নাই, তাতে তাদের (সরকার) যে অবস্থা। কিছু করলে কী হবে? সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমাদের জনসভা। আমরা আরও বড় করে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুনে রাখুন, ৬ তারিখে আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করব। তবে তিনি বলেন, আন্দোলন মানে সহিংসতা নয়, আন্দোলন মানে ভাংচুর নয়। কোনো রকম অগ্নিসন্ত্রাস নয়। সন্ত্রাস আপনারা করছেন। খুন-গুমের ইতিহাস আপনাদের সবচাইতে বেশি। মান্না বলেন, এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংলাপ করবেন তাহলে আবার আন্দোলনের কর্মসূচি কেন? আমরা আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি দিইনি, বরং আপনি করছেন। পরীক্ষা বন্ধ করে, বাস বন্ধ করে, ফ্লাইওভার বন্ধ করে রাস্তা দখল করে জনসভা করছেন। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জবাব দেন আপনি করছেন কেন? আপনি যেখানে সেখানে জনসভা করবেন, কী রাইট আছে পরীক্ষা বন্ধ করার?  ‘গায়েবি’, ‘রাজনৈতিক’ ও ‘হয়রানিমূলক’ মামলার তালিকা দিয়েই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এবার সংলাপে বসতে চান বলে জানান তিনি।
সরকার যাতে কোনো রকমেই পার পেতে না পারে এজন্য বিএনপি খুবই সতর্ক বলে জানা গেছে। কোনো রকমের আলোচনা বা নিরপেক্ষ নির্বাচনের পদক্ষেপ না নেয়া ছাড়াই যদি একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা এবং সেই পরিবেশ-পরিস্থিতি যদি ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড’ না হয় তাহলে অত্যন্ত কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সম্ভাব্য এই আন্দোলন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে তীব্রতর হবে বলে আভাস দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১৩-১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের নীতিনির্ধারকরা যা কিছুই করেছেন তাতে তাদের মধ্যে কোনো টেনশনের লেশমাত্রও ছিল না। তবে তখন দল বা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকরা কী পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছিলেন সাধারণ নেতা-কর্মীরা যেহেতু তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাই তাদের মধ্যে বেশ খানিকটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি উল্টো। নেতা-কর্মীরা এখনও অনেকে মনে করছেন, যত সমস্যাই আসুক না কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাদুর কাঠি দিয়ে সব সংকট উৎরে যাবেন। তবে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে এবার ভেতরে ভেতরে চরম টেনশন বিরাজ করছে, যদিও তারা প্রকাশ করছেন না। কারণ, বাস্তব অবস্থা প্রকাশ করলে হিতে বিপরীত হবে। তাতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভীতি-আতংক ছড়িয়ে পড়বে। জানা গেছে, নীতিনির্ধারকরা আশংকা করছেন তফসিল ঘোষণা হলেই পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। সরকার ক্ষমতায় থাকলেও সেই পরিস্থিতি উৎরানো সম্ভব হবে না। বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও সরকারের এখনকার বড় ভয় হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে। এছাড়া বিদেশীরা চাচ্ছেন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে বিদেশী কূটনীতিকদের মধ্যেও তৎপরতা ততই বাড়ছে। নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রতিনিয়ত নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছেন, বৈঠক করছেন কূটনীতিকরা। সরকারের কর্মকাণ্ড এবং বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করছেন। সময়ে সময়ে এ নিয়ে কথাও বলছেন। প্রেস ব্রিফিংসহ বক্তৃতা-বিবৃতিতে তারা প্রায়ই একই কথা বলছেন। বিরোধীদল অর্থাৎ বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সরকারের সংলাপ বা আলোচনার ওপর জোর দিচ্ছেন বিদেশী কূটনীতিকরা।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।