ক্রাইমবার্তা রিপোট: নির্বাচন কমিশনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় এক্যফ্রন্টের মুখ্যপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা ইসিকে বলেছি, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। ইসি বলেছে, তারা বিষয়টি দেখবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ইসি আমাদের সব কথা শুনেছে। প্রতিবারই শোনে। তবে তারা কতটা পালন করবে, তা জনগণ দেখবে।’
সংসদ নির্বাচন পেছানো হবে কি না, বিষয়টি নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ঐক্যফ্রন্টকে। ইসির সাথে বৈঠক শেষে বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) আমাদের নির্বাচনে সাহায্য সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হবে। তারা ধৈর্য ধরে আমাদের কথা শুনেছেন। আশা করি তারা সহযোগিতা দেবেন।’
ড. কামাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘটিত সংঘর্ষের বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, এটি সরকারি বাহিনীর উৎসাহী কাজ। নির্বাচন পেছানো হবে কি না, সে বিষয়ে কামাল হোসেন বলেন, ইসি বলেছে তারা বিষয়টি বিবেচনা করবে।
ব্রিফিংয়ে ইসির বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বিরোধী দলের নির্বাচনে টিকে থাকাটা ইসি ও সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করছে। আমরা ইভিএম ব্যবহার করতে না করেছি। ইসি বলেছে, তারা সিটি করপোরেশন এলাকায় সীমিত আকারে এসব ব্যবহার করবে। সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে ইসি বলেছে, তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। তবে প্রতি কেন্দ্রেই সেনা মোতায়েন করা যায় কি না, তা ইসি বিবেচনা করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণভবনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। এটা সরকারি ভবন। এটা প্রধানমন্ত্রী পারেন কি না, সে বিষয়ে আমরা ইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’ ইসি বলেছে, ‘তারা এটি খতিয়ে দেখবে।’
ফখরুল বলেন, বৈঠকে জনপ্রশাসনে রদবদল, বদলি ও গায়েবি মামলা প্রভৃতি বিষয়ে ইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের খবরাখবর সম্প্রচার নিয়ে ইসির সঙ্গে কথা হয়েছে। ইসি বলেছে, সাংবাদিকেরা নির্বাচন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু কেন্দ্রের ভেতরে থেকে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে না।
নির্বাচনের তারিখ এক মাস পেছানোর মূল দাবি নিয়ে আজ ইসির সঙ্গে বৈঠক করে ঐক্যফ্রন্ট। এতে এই জোটের ১৪ নেতা অংশ নেন।