ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা ১,২,৩ ও ৪ সংসদীয় আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ২০ দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চার নেতা। গতকাল দুপুরে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে তাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন দলের নেতাকর্মীরা। এদের মধ্যে সাতক্ষীরা- ১ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও নির্বাচন পরিচালনা কমিঠির সদস্য সচিব মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ আসনে সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমীর কেন্দ্রীয় নেতা জননেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ আসন থেকে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাসার ও সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধা গাজী নজরুল ইসলাম। স্বত্রন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তারা নির্বাচন করবেন বলে সূত্র জানায়।
এদিকে তফসিল ঘোষণার পর এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতেরও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সময়ে গ্রেফতার হতে পারেন বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। এ আশঙ্কা থেকে অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। এড়িয়ে চলছেন জনসমাগম। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে নির্বাচনী ইমেজ প্রবাহিত হলেও বিএনপি ও জামায়াত অনেকটা নিরব ভূমিকা পালন করছে।
সাতক্ষীরা জেলার প্রাণ কেন্দ্র সাতক্ষীরা সদর দুই নং আসনটি। রাজনৈতিক ভাবে সবদলের কাছে আসনটি গুরুত্ব পূর্ণ। স্বাধীনতার পর থেকে আসনটি থেকে সর্বাধীকবার জামায়াত প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। দলীয় তিনটি শাখা নিয়ে জামায়াতের সাতক্ষীরা সদর আসনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর পূর্ব ,পশ্চিম ও শহর শাখা। প্রভাবশালি শাখা হল সাতক্ষীরা শহর। শহর শাখার আমীর সাতক্ষীরা পিএনস্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ। রাজনৈতিক কারণে তাকে কয়েকবার গ্রেফতার হতে হয়েছে। সম্প্রতি তিনি সবকটি মামলায় উচ্ছ আদালত থেকে জামিন নেন। রাজনৈতিক ভাবে আর কাউকে গ্রেফতার করা হবে না সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসার পর তিনি গত মঙ্গলবার শ্যেণীতে পাঠদানের জন্য কলেজে যান। কলেজে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। পরে একটি পেন্ডিং মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামী হিসাবে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এতে করে গোটা জেলাতে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জেলা ব্যাপি এখনো নৌকার বিল বোর্ড, ব্যানার ও পোস্টারে পরিপূর্ণ। লেভেল প্লেয়িংফিল্ডের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা ভিন্ন। বিএনপি জামায়াতের কোন নেতা কর্মীরা এখনো ভোটের মাঠে দেখা মিলেনি। এমনকি বিএনপি ও জামায়াতের অফিস গুলো এখনো তালা দেয়া। অফিসে ঢুকলেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে এমন আশঙ্কা নেতা কর্মীদের মাঝে।
জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে ‘লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ)’ দেয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তার দেখা মিলছে না। । নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের দাবী। রাজনৈতিক মামলায় কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও নতুন করে মামলা না দিতে নির্দেশনা দেয়া হলেও কার্যত সেটি শুধুই আইওয়াশ।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …