সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা নূরুন নবীকে গত ১৭ নভেম্বর ও গতকাল উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা জহুরুল ইসলামকে গ্রেফতার এবং ফেনী জেলা জামায়াতের কার্যালয়ের গেটের তালা ভেঙে পুলিশের অভিযানে একটি গাড়ি, কুরআন-হাদিস এবং ইসলামী বই-পুস্তক জব্দ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, এসব ঘটনার মাধ্যমে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্র অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এসব ঘটনায় প্রমাণিত হচ্ছে, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। নির্বাচনের তারিখ যতই এগিয়ে আসছে ততই সরকার একতরফা ব্যালট ডাকাতির প্রহসনের নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করার লক্ষ্যে বেপরোয়াভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার ও সরকারী জোটের প্রার্থীরা অব্যাহতভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছে। অথচ নির্বাচন কমিশন সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করছে না। এ থেকে পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছেÑ সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন ব্যালট ডাকাতির একতরফা নির্বাচনের নাটক করতে বদ্ধপরিকর।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, দেশবাসী মনে করেছিল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার পর সরকারের এবং পুলিশের বেপরোয়া আচরণ বন্ধ হবে। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি, পুলিশের বেপরোয়া আচরণ বন্ধ হয়নি, বরং আরো বেড়েছে। সরকারের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণ-প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। একইসাথে তিনি গ্রেফতার অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করে মাওলানা নূরুন-নবীসহ সারা দেশে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবির এবং অন্যান্য বিরোধী দলের গ্রেফতার সব নেতাকর্মীকে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি।