একাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের ওপর শুনানী শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সকালে নির্বাচন ভবনের লিফটের ১০ তলায় এজলাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নবাব মো. শামছুল হুদার মাধ্যমে শুনানী শুরু হয়। এরপর আপিল আবেদনের সিরিয়াল অনুযায়ী একে একে প্রার্থীদের শুনানী গ্রহণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি প্রার্থী মোরশেদ মিল্টন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। খাগড়াছড়ির বিএনপি প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ ভুঁইয়ার সিদ্ধান্ত এখনো অপেক্ষমান। ঢাকা-২০ আসনে বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী তমিজ উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ। এছাড়াও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে কিশোরঞ্জ-২ আসনে মেজর (অব) মো আখতারুজ্জামানের মনোনয়ন বৈধ। পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মওলা রনির স্বাক্ষর না থাকায় আটকে ছিল মনোনয়নপত্র।
আপিলের মাধ্যমে তার মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষনা করেছে ইসি। ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাকের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা। মোহাম্মদ শাহজাহান পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে বৈধতা পেয়েছেন। সুমন সন্নামত পটুয়াখালী-১ বৈধতা পেয়েছেন। পারভেজ হোসেন দিনাজপুর-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। জহিরুল ইসলাম মিন্টু মাদরীপুর-১ আসনে বৈধ। এস এম খলিলুর রহমান ঠাকুরগাঁও-৩ অবৈধ। বৈধতা পেয়েছেন ফজলুর রহমান জয়পুরহাট-১ থেকে।
একইভাবে বিএনপির প্রার্থী গাজীপুর-২ মো. জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৬ জেসমিন নুর বেবী, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম বৈধতা পেয়েছেন। এস এম শফিকুল আলম খুলনা-৬ আসন থেকে মনোনয়নের বৈধতা পেয়েছেন। আশরাফুল হোসেন আলম বগুড়া-৪ আসনে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১০ জনের স্বাক্ষর গড়মিল থাকায় বাতিল হয়েছে। বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে হবিগঞ্জ-১ আসনের জুবায়ের আহমেদের মনোনয়নপত্র। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ সকাল থেকে এই শুনানী শুরু হয়। এর আগে গত ২রা ডিসেম্বর সারাদেশের রিটার্নিং কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করে ৭৮৬ মনোয়নয়নপ্রত্যাশীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে। ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত তিনদিন নির্বাচন কমিশনের আপিল আবেদন করেন ৫৪৩ প্রার্থী। আজ থেকে এই আবেদনের ওপর শুনানী। এই শুনানী চলবে আগামী ৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনাররা সেখানে উপস্থিত থেকে আপিল শুনানি গ্রহণ করছেন। আজ এক থেকে ১৬০ পর্যন্ত ক্রমিক নম্বরের আবেদনের শুনানি হবে।