ক্রাইমর্বাতা রিপোট: বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘নজিরবিহীন’ সতর্কতা জারি করেছে ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশন। এক পৃষ্ঠার দীর্ঘ ওই সতর্কবার্তায় বাংলাদেশে অবস্থানরত মালয়েশিয়ানদের যেকোনো জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। গতকাল জারি করা বার্তায় বলা হয়- ৩০শে ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ভোটের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এর অবনতি ঘটতে পারে! এ অবস্থায় বাংলাদেশে থাকা মালয়েশিয়ানদের সদা সতর্ক থাকতে হবে। এ জন্য তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপও নিতে হবে। অবশ্যই কে কোথায় আছে তা হাইকমিশনকে দ্রুত জানাতে হবে। পাসপোর্টের কভার পেজের ফটোকপি হাইকমিশনে জমা দিতে হবে। ভোটের সময়ে বাংলাদেশে কতজন মালয়েশিয়ান অবস্থান করছেন সেই হেড কাউন্টিং বা জন গণনার জন্য এটি জরুরি।
তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো ব্যবস্থার জন্য অবশ্যই নাগরিকদের পাসপোর্ট সাইজের ছবি তুলে রাখতে হবে। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে হাইকমিশন বলে, দয়া করে আপনার জামা-কাপড়, ওষুধ ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সংবলিত একটি ছোট্ট ব্যাগ প্রস্তুত রাখুন। দুই সপ্তাহের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, পানি এবং জ্বালানি জমা করে রাখুন। কারণ এর আগে নির্বাচনকে ঘিরে হরতাল ডাকায় জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। এ রকম অবস্থা হলে দোকানপাট বন্ধ থাকতে পারে। মালয়েশিয়ান নাগরিকদের বলা হয়- আপনার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম টেলিফোন, মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় ডিভাইসগুলো চালু রাখুন। যাতে হাইকমিশন যেকোনো পরিস্থিতির বিষয়ে আপনাকে অবগত করতে পারে। বারিধারায় অবস্থিত হাইকমিশন যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ানদের নিরাপদ আশ্রয় (সেফ হাউজ) হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করে হাইকমিশনের বার্তায় বলা হয়- নাগরিকদের পরিবহন যোগাযোগ, উদাহরণ স্বরূপ নিজস্ব বাহন, ড্রাইভার সহ প্রস্তুত থাকতে হবে। একই সঙ্গে হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নগদ অর্থ রাখুন।
আপনার চারপাশ সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন থাকবেন। জনসমাগম স্থান এড়িয়ে চলুন। বিশেষত রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও র্যালি। স্থানীয় মিডিয়া থেকে সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার চেষ্টায় থাকার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়- আপনার নিয়োগ কর্তা বা লোকাল হোস্টের কাছ থেকেও নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। তারপরও যদি কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হন দ্রুত হাইকমিশনের ২৪ ঘণ্টার ইমার্জেন্সি নাম্বারে যোগাযোগ