ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ নির্বাচনে যে নৈতিক পরাজয় হয়েছে তা থেকে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরানোর জন্যই বিজয় উৎসব পালন করেছে
আওয়ামী লীগ। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সকালে দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে শেরে বাংলা নগরে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, ৩০শে ডিসেম্বর গণতন্ত্রের পরাজয় হয়েছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় পরাজয় হয়েছে। কারণ তারা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যে বিজয় উৎসব হয়েছে এটা তাদের পরাজয় ঢেকে দেয়ার জন্য। মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরানোর জন্য। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
গণতন্ত্রের বহুমাত্রিকতা সামনে নিয়ে আসেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা সামনে নিয়ে আসেন।
কিন্তু আজকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে- যিনি জাতিকে স্বাধীনতায় অনুপ্রাণিত করেছিলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তার জন্মদিনে আওয়ামী লীগ উৎসব পালন করছে। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের প্রতি আওয়ামী লীগের কোনো শ্রদ্ধা নেই। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু বিশ্বাস করে না। অতীতে ১৯৭৫ সালে এই আওয়ামী লীগ সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা মানুষের বাক স্বাধীনতাকে হরণ করে নিয়েছিল। অন্যদিকে, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে মানুষের বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ফখরুল বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নিয়েছি গণতন্ত্রকে আমরা মুক্ত করবো। সর্বোপরি যিনি এই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের পতাকা ধরে আছেন সেই কারারুদ্ধ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ঐক্যফ্রন্ট আছে, ২০ দলীয় জোটও আছে। আমাদের মধ্যে কোনো টানাপড়েন নেই। বরং ঐক্যফ্রন্ট ভাঙার বিষয়ে যে কথা উঠেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই ধরনের কথা সবসময় আসে। আর আপনাদের চমৎকার চমৎকার স্টোরির মধ্য দিয়ে বিভিন্ন রকমের স্টোরি আসে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে বিএনপির ভেতরেও কোনো টানাপড়েন নেই। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে।
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, রুহুল আলম চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডা. একেএম আজিজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, কায়সার কামাল, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, দেওয়ান সালাহউদ্দিন, অধ্যক্ষ সোহরাবউদ্দিন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, আমিরুল ইসলাম আলিম, হারুনুর রশীদ, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, নবী উল্লাহ নবী, আনোয়ার হোসাইন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, শাহ নেসারুল হক, মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মওলা শাহিন, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া- ঢাকা মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্র দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, ড্যাব, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, ওলামা দল, মুক্তিযোদ্ধা দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদাভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।