সাতক্ষীরার তালায় গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মূল নায়ক ধর্ষক মনিরুল সরদারকে পুলিশ আটক করে বুধবার সকালে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে তাকে উপজেলার মাগুরা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। মনিরুল ঐ এলাকার আফছার আলী সরদারের ছেলে।
মনিরুল ২৬ জানুয়ারী রবিবার গভীর রাতে তালা উপজেলার বালিয়াদহ গ্রামের ছুরমান সরদারের ছেলে আলামিন সরদারের অনুপস্থিতে তার ঘরের শিকল ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দুই সন্তানের জননী তার ঘুমন্ত স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এসময় তার ধস্তাধস্তিতে গৃহবধূর ঘুম ভেঙ্গে গেলে চিৎকার দিকে থাকে।
এসময় মনিরুল তার কাছে থাকা ধারালো ছুরি দেখিয়ে পাশে ঘুমন্ত তার সন্তানদের হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে উপর্যুপরী ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এসময় ধর্ষিতার ডাক চিৎকার ও শিশু কণ্যার কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে বরগুনায় ইট ভাটায় কর্মরত ধর্ষিতার স্বামী আলামিন সরাসরি হাসপাতালে এসে পরের দিন ২৭ জানুয়ারী তালা থানায় মনিরুলকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা করে। যার নং ১২। ধারাঃ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী-২০০৩ এর ৯(১)।
আলামিনের দায়ের করা মামলায় আরো উল্লেখ করা হয় যে,এর আগেও মনিরুল তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় কূ-প্রস্তাব দিত। ঐসময় বিষয়টি স্থানীয়দেও জানালে সে তার ও তার স্ত্রী-স্বজনদের প্রতি আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদর্শণ করে। সর্বশেষ তার অনুপস্থিতির সুযোগে কৌশলে ঘরের শিটকানি খুলে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।
প্রসঙ্গত, এলাকাবাসী জানায়, আটক ধর্ষক মনিরুলের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। তবে একটি প্রভাবশালী গ্রুপের সরাসরি ইন্ধনে এখন পর্যন্ত প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
সর্বশেষ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলেও বাড়ি এলাকায় প্রকাশ্যে আস্ফালন করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল যে, ওসব মামলায় তাকে কিছু করা যাবেনা। তার লোক রয়েছে। মামলা তুলে না নিলে তাদের হত্যারও হুমকি দিচ্ছিল।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল ধর্ষক মনিরুলের আটকের বিষয়টি স্বীকার করে জানান,ঘটনায় গত ২৭ জানুয়ারী থানায় ধর্ষিতার স্বামী আলানি বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিল। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে আসামী আটক করে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছি ।