ক্রাইমর্বাতা রিপোট: সব ধরনের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, অনেক মামলা সময়মতো নিষ্পত্তি হয় না। আপনারা যারা মামলাগুলো পরিচালনা করেন সেখানে অনেক ঘাটতি থাকে। এসব মামলার ওপর এমনভাবে নজরদারি করা উচিত যেন সঠিকভাবে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। সেলক্ষ্যে আপনাদের বোধহয় বিশেষ একটা উদ্যোগ নেয়া উচিত এবং এক্ষেত্রে আপনাদের একটা টিমই থাকা উচিত। আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শাপলা হলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, এফআইআর করে ফেলে রাখা হয়েছে। সেইগুলোকে চার্জশিট দেয়া, স্বাক্ষী নিয়ে আসা, মামলাগুলো সচল রাখা। এসব কিন্তু হচ্ছে না ঠিকমতো। আর কোর্টে গেলেও সেটা বছরের পর বছর আটকে থাকে।
সেখানে আবার আইনজীবী লাগে। অথবা সরকার পক্ষ থেকেও লোক দরকার হয়। এই বিষয়গুলোর জন্য আমার মনে হয় একটা আলাদা ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কিভাবে মামলাগুলো যথাযথভাবে চলবে এবং সময়মতো মামলাগুলো সম্পন্ন হবে, সেই দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস এটা কিন্তু বাংলাদেশের একার না এটা সারা বিশ্বব্যাপী একটা সমস্যা। কিন্তু আমাদের দেশে আমরা অন্তত: জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কিন্তু এটা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এখনকার দিনে ক্রাইমটা এসে গেছে সাইবার ক্রাইম। ইতিমধ্যে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণের আইনও করে দিয়েছি। যেটা নিয়ে বেশ হইচই, অনেকে সেটার বিরুদ্ধে কথা বলে কিন্তু বাস্তবতা হলো যে এই আইনটা একান্তভাবে করা হয়েছে মানুষের নিরাপত্তা দেবার জন্য। যারা নিরীহ সাধারণ জনগোষ্ঠীর তাদের যে মানবাধিকার রয়েছে সেটা সংরক্ষিত করবার জন্যই এই আইনটা আমরা করেছি। এটা মানুষের অধিকার রক্ষা, মানুষের জীবনমান বাঁচানোর জন্যই করা। তাই পুলিশ বাহিনীকে এসব তদন্ত করে সঙ্গে সঙ্গে এর সাথে জড়িতদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
এছাড়াও, সারাদেশে বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রত্যেকটি এলাকায় বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে তাৎক্ষনিক দ্রুত অ্যাকশনে যাওয়ার সক্ষমতা অর্জনসহ এর ওপর বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ বেশী বেশী প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।