গ্রেফতার-৪
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ভাড়ায় চালিত এক মটর সাইকেল চালককে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘাতকরা তার লাশ স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সেফটিক ট্যাংকির মধ্য ফেলে রাখে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে অশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার সেফটিক ট্যাংকির মধ্য থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনা জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহতের নাম জাহাঙ্গীর হোসন (২৪)। সে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের খোকন গাজীর ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের বশির সানার ছেলে আব্দুল আজিজ (৪০), একই গ্রামের সালামুদ্দিন (খোকন) কারিকরের ছেলে আল আমিন কারিকর(২৫) ও অব্দুল্লাহ কারিকরের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০)ও শরিফুল ইসলাম (২৫)।
আনুলিয়া ইউনিয়নের দফাদার আব্দুস সাত্তার জানান, জাহাঙ্গীর আলম পেশায় একজন ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল চালক। গত বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারী) রাত ১০ টার দিকে রবিউল, আল আমিন ও আব্দুল আজিজ একসরা লঞ্চঘাটে যাওয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীরের মটর সাইকেল ভাড়া করে। রাজাপুর গ্রাম হতে রওনা দিয়ে মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার কাছে পৌছালে পিছন দিক থেকে চালক জাহাঙ্গীরের গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার পর লাশ ওই মাদ্রাসার সেফটিক ট্যাংকির মধ্যে ফেলে রেখে ঘাতকরা মটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নিহতের স্ত্রী সাথী খাতুন তাকে এসে জানায় যে, তার স্বামী জাহঙ্গীরা ভাড়া নিয়ে যাওয়ার পর দু’দিন হয়ে গেছে এখনও ফিরে আসেনি। এসময় মটর সাইকেল ভাড়া নেয়া রবিউল ইসলামকে ডেকে এনে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনকে খবর দেন। পরে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায় সে জাহাঙ্গীরকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। এসময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরে রবিউল ইসলাম ও আল আমিনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে পুলিশ এসে মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার সেফটিক ট্যাংকির মধ্য থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।