ক্রাইমবার্তা রিপোর্টঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করেছেন দলের অন্যতম সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। আজ শুক্রবার ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী কাউসার হামিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। জামায়াতের পক্ষ থেকে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে দলের সেক্রেটারি জেনারেল একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক জামায়াতের আমীর জনাব মকবুল আহমদের কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠান। পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি মূলত ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দলের ভূমিকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আজো দলের নেতৃবৃন্দ ৭১-এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইতে পারেনি। এমনকি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রসঙ্গে দলের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেনি।’
এসেক্সের বারকিং থেকে পাঠানো চিঠিতে তিনি এ-ও বলেছেন যে, ওই ইস্যুতে তিনি জামায়াতকে বিলুপ্ত করে দেয়ারও প্রস্তাব করেছিলেন দলীয় ফোরামে।
পদত্যাগপত্রে তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের আওতায় ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক দল গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি, কিন্তু সে দাবি অনুযায়ী জামায়াত নিজেকে এখন পর্যন্ত সংস্কার করতে পারেনি।
জামায়াতের বক্তব্য :
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের পদত্যাগের ব্যাপারে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকসহ আমরা দীর্ঘদিন একই সাথে এই সংগঠনে কাজ করেছি। তিনি জামায়াতে ইসলামীর একজন সিনিয়র পর্যায়ের দায়িত্বশীল ছিলেন। তার অতীতের সকল অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।’
তিনি বলেন, ‘তার পদত্যাগে আমরা ব্যথিত ও মর্মাহত। পদত্যাগ করা যে কোনো সদস্যের স্বীকৃত অধিকার। আমরা দোয়া করি তিনি যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।’
বিবৃতিতে ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশা করি তার সাথে আমাদের মহব্বতের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।’