ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট : ৩৩ বিজিবির সদস্যরা গত এক বছরে জেলার বিভিন্ন সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২০ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ১২৫ টাকার মালামাল আটক করেছে।
এ সময় বিজিবি সদস্যরা ৪৭ জন চোরাকারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় মালামালের মালিকসহ মামলা দায়ের করা হয়েছে ৪৬ টি । মালিক বিহীন আরো অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, স্বর্ণ, রৌপ, ভারতীয় ফেন্সিডিল, মদ, ইয়াবা, গাঁজা, অনাগ্রা, ভায়াগ্রা, সিনেগ্রা ট্যাবলেট, বিভিন্ন প্রকার শাড়ী, থ্রীপিচ, প্যান্ট পিচ, থান কাপড়, চাপাতা, বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় ঔষধ, জুতা, কসমেটিক্স সামগ্রী, বিভিন্ন প্রকার খুচরা যন্ত্রাংশ, ক্রোকারিজ সামগ্রী, চকলেট, বিভিন্ন প্রকার আতশ বাঁজি, বাই সাইকেল ও বাই সাইকেলের যন্ত্রাংশ, গরুর মাংস, গুড়ো দুধ, হরলিক্সসহ বিভিন্ন আইটেমের পণ্য সামগ্রী। সাতক্ষীরা সীমান্তের চন্দনপুর, হিজলদি, মাদরা, ভাদিয়ালি, কাকডাঙ্গা, ঝাউডাঙ্গা, তলুইগাছা, কুশখালি, বৈকারি, ভোমরা, কলারোয়াসহ বিভিন্ন সীমান্তে অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত পণ্য সামগ্রী আটক করা হয়।
এদিকে, চোরাচালান রোধ, নারী ও শিশু পাচার বন্ধ, সীমান্তের মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসাসহ বিপুল পরিমান অবৈধ পণ্য আটকসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছেন সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, গত ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে ২০কোটি টাকার অবৈধ মালামাল আটক করা হয়েছে। মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমান। আটক করা হয়েছে ৪৭ জন চোরাকারবারিকে।
তিনি আরো জানান, সীমান্তে চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার এবং মাদক পাচার রোধে বিজিবি সদস্যরা সকল সময় তৎপর রয়েছে। মাদক পাচারকারিদের কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। সীমান্ত এলাকায় অপরাধ ও আইন শৃংখলা রুখতে যা যা করা প্রয়োজন বিজিবি সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে এলাকায় সভা, সমাবেশসহ বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা চালানো হচ্ছে। মাদক, চোরাচালান রোধে শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষসহ সকলের সহযোগিতা কমনা করেন তিনি।