করে অভিযোগ আকারে প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পীকার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়াকে কেন্দ্র করে সারা সাতক্ষীরা ব্যাপি সমালোচনার ঝড় বইছে। কি এমন ঘটনা ঘটেছে? বাংলাদেশের ইতিহাসে এধরনের নজিরবিহীন ঘটনা কেউ দেখেনি।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বুধবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টায় দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার ২৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা।
এ বিষয়ে সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক অাহমেদ রবির বক্তব্য, সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ধামা চাপা দেয়া যায়না। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ২০ মার্চের সিসি টিভির ফুটেজটি জাতির বিবেক সাংবাদিক প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে দেখার আহবান জানাচ্ছি।
অামি সত্যই কি অশোভন আচরণ ও সিনক্রিয়েট করেছি, ঐ প্রমাণ্ থেকে বোঝা যাবে আসল ঘটনা কি । স্বাধীনতা বিরোধী চক্র রাজাকার পরিবারের সদস্য, যারা দেশের উন্নয়ন চায়না তাদের স্বার্থ হাসিল করতে যে মুহুর্তে অামি সাতক্ষীরার ব্যাপক উন্নয়ন শুরু করেছি, সেই মুহুর্তে উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করতে এবং শান্ত সাতক্ষীরাকে অশান্ত করতে যে চক্রান্ত শুরু করেছে সেটা মোটেই ভালো নয়।
অনুষ্ঠানের অায়োজক দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী সুজন বলেন, আমার অনুষ্ঠানে এমপি মহোদয় নির্দিষ্ট সময়ের ২ মিনিট আগে পৌছে যান। তিনি সময় জ্ঞান সম্পর্কে খুবই সচেতন। তিনি ব্যস্ত থাকায় আমি ৫ মিনিট সময় চেয়েছিলাম। অনুষ্ঠানে দুই একজন অতিথি নির্দিষ্ট সময়ে আসেনি।
তিনি ৫/৬ মিনিট অপেক্ষা করে প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপ্পি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারীসহ প্রেসক্লাবের অনেক নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সবাই উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কেক কাটা হয়।
পরবর্তীতে এমপি মহোদয় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপ্পিকে সাথে নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রথম সভায় যোগদান করেন। প্রেসক্লাব যে ঘটনার জন্ম দিয়েছে আদৌ সত্য নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের একজন সদস্য বলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক তৃতীয়াংশ জামায়াত-বিএনপি সদস্য হওয়ায় আমরা আওয়ামী পন্থী বা স্বাধীনতার স্বপক্ষের ব্যক্তিরা কোন প্রতিবাদ করতে পারছিনা।
আমাদের সমমানদের প্রেসক্লাবের দীর্ঘদিন ধরে সদস্য পদ দিচ্ছেনা। এখানে পরিবর্তন জরুরী। অহেতুক কোন কারণ ছাড়াই যে ঘটনার জন্ম হয়েছে তা সাতক্ষীরার মানুষরা বোঝে তাদের বোকা বানানো যাবেনা।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ঐ ঘটনার সময় প্রেসক্লাবে ছিলেন না। তিনি প্রকৃত ঘটনা যাচাই না করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় অহেতুক কোন কারণ ছাড়াই বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত মেনে নেন।
এদিকে সারা সাতক্ষীরা ব্যাপি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে এবং সাতক্ষীরার সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন সংগঠন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে সাতক্ষীরার স্বাধীনতার স্বপক্ষের জনতা কঠোর আন্দোলন সংগ্রামের সিদ্ধান্ত নেবে।