কলারোয়ায় আনারস প্রতিকের সমর্থক আফছারসহ আহত-
কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিরুত্তাপ ভোট গ্রহন শেষ সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলার ৫৯৭ কেন্দ্রে। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটাররা আসছেন এক দুইজন করে। বেলা ১২ টা পর্যন্ত তিন ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে। সব কেন্দ্রের ভোটগ্রহন কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। শহরের সরকারি কলেজ কেন্দ্রে চার ঘন্টার ব্যবধানে ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে প্রিজাইডিং অফিসার মো. ইয়াসিন আলি জানিয়েছেন।
এদিকে, আশাশুনির কেন্দ্রে কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা জোর করে ব্যালটে সীল মারছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও ফুটেজে বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পিন্টু তার বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। এ উপজেলার খাজরা কেন্দ্রে হাঙ্গামার খবর পাওয়া গেছে। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা জানান, কুল্লা ইউনিয়নের আগরদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার ঘটনায় কিছু সময় ধরে ভোট গ্রহন বন্ধ রাখা হয়। অপরদিকে, কলারোয়ার বাটরা কেন্দ্রে নৌকা ও আনারস প্রতিকের দুইপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাঙ্গামার ঘটনা ঘটেছে। এতে আনারস প্রতিকের সমর্থক মুক্তিযোদ্ধা আফছার উদ্দীনসহ তিন জন আহত হয়েছেন। আহতরা সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, সেখানে দ্রুত নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
অপরদিকে, আশাশুনির বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পিন্টু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার দেবনাথের দ্রুত অপসারন দাবি করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওসি প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রভাবিত করে প্রতি কেন্দ্রে এক হাজার ব্যালটে নৌকার সিল মারার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান ১০ টি কেন্দ্রে থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে কর্মকর্তাদের সহায়তায় নৌকায় সিল মারা হচ্ছে। এদিকে সদর উপজেলার মাছখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও আনারস প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে হাঙ্গামা হলেও পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়।