ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ নরসিংদী সদর উপজেলা ছাত্রদলের দীর্ঘদিনের সদস্য সচিব আরিফ হোসেন এখন আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতা। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তাকে প্রথম সারিতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ ২০০৮ সালের পর থেকে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা বেশিরভাগ মামলায় আসামি তিনি।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে তার নিজ ইউনিয়নের কেন্দ্র পোড়ানো হয়। তাছাড়া বাস পোড়ানোসহ প্রায় সকল মামলাই তিনি আসামি ছিলেন। নরসিংদীর সদরের মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশারফ হোসেন তার মামা। তার হাত ধরেই গত ২৭ মার্চ নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সরকার দলীয় এমপি নজরুল ইসলাম হিরুর বাসভবনে তার হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন ছাত্রদলের এই নেতা।
আরিফের ছাত্রদল করার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আরিফ হোসেন আমার ভাগিনা। সে একসময় ছাত্রদল করতো এটা সত্য। কিন্তু ২০১৫ সালে ৩০ ডিসেম্বর আমার মানে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করায় তাকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে সে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনীতি করে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে সে রাতদিন গণসংযোগ করেছে।’
‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে অনেক কাজ করছে তাই আমরা তাকে একটা সুযোগ দিয়েছি। তবে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাকে বলে দিয়েছি, আমাদের বিপক্ষে যদি তোমাকে কোন ষড়যন্ত্র করতে শুনি বা কোন আচরণ দেখি, তাহলে তোমাকে বহিষ্কার করা হবে। এরপরই সে সকল শর্ত মেনে নিয়ে কয়েকদিন আগে আমাদের এমপি নজরুল ইসলাম হিরুর হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে’- বলছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন।
ছাত্রদল থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আরিফ হোসেন বলেন, “আমি একসময় ছাত্রদল করতাম। তবে ’১৫ সালে মামা মোশারফ হোসেনের ভোট করায় আমাকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন থেকে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে কাজ করছি। কয়েকদিন আগে এমপি নজরুল ইসলাম হিরুর কাছে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছি। এখানে তো কোন সমস্যা থাকার কথা না। আমি একসঙ্গে তো দুই দল করছি না।”