সুভাষ চৌধুরী ; রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তালা উপজেলার ধুলন্ডা গ্রামের শেখ আছাদুজ্জামান তার পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন তালার জেঠুয়া মৌজায় জে এল নং ১৩০, এস এ খতিয়ান ৬৭৭, ডি,পি খতিয়ান ২৪৯, এস এ ৪৫৬, বর্তমান জরিপে ৮৪৬, জমির পরিমাণ ৪৫ শতক জমি মূল মালিক উজির সরদারের কাছ থেকে ক্রয় করেন নবাব আলী আকুঞ্জির পুত্র আবুল আকুঞ্জি ও হারান সরদারের পুত্র আব্দুল জলিল সরদার। আছাদুজ্জামানের পিতা আব্দুল জলিল সরদারের কাছ থেকে ১৯৮১ সালে ২ শতক জমি ক্রয় করেন যার দলিল নং ৪২৫৯। এরপর থেকে তিনি ওই ২ শতক সম্পত্তিতে ভোগদখল রয়েছেন। ২০১৫ সালের তার পৈত্রিক সম্পত্তি উল্লেখ করে বিভিন্ন জাল কাগজপত্র উপস্থান করে জমি দাবি করে একই গ্রামের করিম বক্সের পুত্র জমির উদ্দীন এবং সে বিগত জনৈক লুৎফরের নাম দিয়ে বিগত ১৯৪৯ সালে বন্দবস্ত, ৫১ সালের আমলনামা ১৯৬৩ সালে দলিল নং- ১১০, ১৯৯১ সালে তালা থানায় একটি জিডি করেন। যার নং- ৫০০, তারিখ- ১৮/৭/৯১। খোঁজখবর করে জানতে পারি লুৎফুর রহমান ওই জিডি সম্পর্কে অবগত নন। তিনি ২০০৫ সালে তালায় চাকুরিতে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালে তিনি তালা থানাতে বসবাস শুরু করেন। তাহলে কিভাবে তিনি ৯১ সালে জিডি করতে পারেন। সে সময় অর্থলোভী কওছার আলী নায়েবের মাধ্যমে দাখিলা কাটে, ৬৭২,৬৭৫, খতিয়ানে ৫৩ শতকের মধ্যে আড়াই শতক জমি। পাটকেলঘাটায় ৯১ সালে নাম পত্তন করে ৩৪৮৮-৮৯। ১৯৯২ সালে (ইসলামকাটি) ৪০৩৪ নং দলিল উপস্থাপন করেন। কিন্তু ১৯৯৪ সালে তালা সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুর রব সরদার ওই দলিলটি সঠিক নয় উল্লেখ করেন। কিন্তু ওই জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আমার পিতার নামীয় সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে দখল করতে না পেরে ২০১৮ সালে মীমাংসা করার উদ্দেশ্যে আমাদের ডাকে জমির উদ্দীন গং। কিন্তু সেখানে স্বাক্ষর করিয়ে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এছাড়া তাদের সহযোগী মুহুরী মুড়াগাছার কামরুল ৫/৮/১৮ তারিখে ১১ স্ট্যাম্প তুলে রাখে এবং লেখক আবুল হোসেন ও কামরুল মিলে পরবর্তীতে আমাদের ৭/৮/১৮ তারিখে করা স্বাক্ষর নিয়ে ৫/৮/১৮ তারিখে একটি দলিল করে এবং ৮/৮/২০১৮ তারিখে রেজিষ্ট্রি হয়, যার দলিল নং- ৩০৮৯ (ইসলামকাটি সাব রেজিষ্ট্রি অফিস)। সেখানে আমরা তাদের লিখে দিয়েছি মর্মে উল্লেখ করা হয়। আমার পিতা মারা যান ২০১৬ সালে অথচ তারা সেখানে উল্লেখ করেছে ২০১৮ সালে আমার পিতা জীবিত ছিলেন। সেখানে সনাক্তকারী হিসেবে শেখ সামছুর রহমানকে দেখানো হয়েছে এবং আমার দাদা বানানো হয়েছে শেখ এখলাজউদ্দীনকে। কিন্তু আমার দাদার নাম করিম বক্স। যা সম্পূর্ণ জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে।
ওই জমির উদ্দীন কৌশলে সম্পত্তি দখলের জন্য ভাড়াটিয়া হাফিজুল দফাদার এবং রেজাউল শেখকে তুলে দিয়েছে। আমার মত একজন অসহায় এতিমের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের জন্য জমির উদ্দীনের পুত্র আ ব ম জাহিদুজ্জামান সাতক্ষীরা আদালতে ১৬৮/১৬ নং ফৌঃ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তার মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত। এতে আ ব ম জাহিদুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে আবারো সাতক্ষীরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু তিনি হাজির না হওয়ায় সেটাও খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু তারপরও ওই ভাড়াটিয়াদের ব্যবহার আমার সম্পত্তি দখল করে যাচ্ছে এবং আমাকে সহ আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যাসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জাড়িয়ে হয়রানির হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আমি ওই অবৈধদখলদারদের হাত থেকে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …