- খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের স্বাভাবিকে জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, সংঘাতের পথ ভাল পথ নয়, আমাদের দেশে সর্বহারা অনেক বাহিনী ছিল, তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে, সব জায়গা থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড গুটিয়ে এসেছে,এখনকার কেউ যদি থেকে থাকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মধ্যে, তাদেরকে আমি আবারও আহবান জানাই, ভুল স্বীকার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন,পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে থাকুন, সকলকে শান্তিতে থাকতে দিন।
তিনি রোববার দুপুরে বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় ৭খুনের ঘটনায় সমবেদনা সভা ও অনুদান বিতরণ শেষে সাংবাদিকের এ কথা বলেন।
সিইসি ১৮মার্চ রাঙ্গামািটর বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় ৭খুনের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন ঘোষিত অনুদানের টাকা ও চেক হতাহতদের স্বজনদের হাতে তুলে দেন। নিহত ৭ পরিবারকে নির্বাচন কমিশনের সাড়ে ৫ লাখ এবং পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের ৫০ হাজার টাকাসহ ৬ লক্ষ টাকার চেক, গুরুতর আহতদের ১ লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০হাজার টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।
বাঘাছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমবেদনা সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ,সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান, নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম,খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক, পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক,আনসার ও ভিডিপির চট্টগ্রাম অঞ্চলের রেঞ্জ প্রধান মো: শামসুল আলম, বিজিবি’র খাগড়াছড়ি সেক্টর কমান্ডার গাজী মুহাম্মদ সাজ্জাদ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো: শহিদুল ইসলাম, রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মো: আলমগীর কবির,খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো: আহমার উজ্জামানসহ পদস্থ সামরিক বেসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি, বাঘাইছড়িতে সংঘটিত হত্যাকান্ডকে একটি মর্মান্তিক ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন হত্যাকান্ড কেউ যাতে পুনরাবৃত্তি না করতে পারে নির্বাচন কমিশন সেই বিষয়ে সর্তক রয়েছে। ভবিষ্যতে নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে। ’
উল্লেখ্য ১৮ ই মার্চ নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে উপজেলা সদরে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৭ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়।