ক্রাইমর্বাতা রির্পোট: ভবনটি থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে মহামাণ্য হাইকোর্টে নির্দেশনা অনুযায়ী সময় দেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল ওই তারিখের মধ্যে মালামাল সরিয়ে নিবে। কিন্তু তারা মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যেও অপারগ হওয়ায় আমরা ভবনটি সীলগালা করে দিয়েছি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরঝিল লেকে অবৈধভাবে নির্মিত বহুতল বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে এসব কথা জানান রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার ওলিউর রহমান।
তিনি বলেন, যাদের মালামাল ছিল তাদের অধিকাংশই এরই মধ্যে নিয়ে গেছে। যাদের এখনও আছে তারা পরবর্তীতে বিজিএমইএ এর কাছে আবেদন করবে। কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে। অনুমতি পেলে তাদের মালামাল নিয়ে যাবে। ওলিউর রহমান বলেন, আজকের মতো অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। ভবনে প্রতিটি ফ্লোর সীলগালা করা হয়েছে। একইভাবে প্রধান গেইটও সীলগালা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে ভাঙার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে সকাল থেকে চার দফা সময় বৃদ্ধির পর সন্ধ্যা ৭টায় এই সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দীর্ঘ আইনী জটিলতার অবসান শেষে আমরা উচ্চ আদালত কর্তৃক নতুন করে সময় বৃদ্ধির কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙে ফেলা হচ্ছে। ভবনটি ভাঙতে বিজিএমইএকে দেয়া সময় পার হয়ে যাওয়ার পরই সরকার এই ভবনটি ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে দুপুরে খন্দকার ওলিউর রহমান বলেন, মালামাল সরানোর পর আমরা ইউলিটি সেবা গ্যাস, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে ভবন ভাঙার কাজ শুরু করবো। এরপর আমরা ভবন ভাঙার কাজে হাত দেব। তবে কি পক্রিয়ায় ভবন ভাঙা হবে সেটা স্পষ্ট করেননি এই কর্মকর্তা।
বিজিএমইএ ভবন অপসারণে আপিল বিভাগের দেয়া এক বছর সময় শেষ হয়েছে গত ১২ এপ্রিল। গত বছরের ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণে তৈরি পোশাক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএকে এক বছর দশ দিন সময় দেন।
এরপর চলতি মাসে (৩ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএর নিজস্ব ভবনের উদ্বোধন করেন। সেখানে ১৩তলা বিশিষ্ট দুটি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ওই ভবনের দুটি ফ্লোরে অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে ওই ভবনের পুরো কাজ শেষ হবে।