ক্রাইমর্বাতা রিপোট: ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বয়স ও ছাত্রত্ব না থাকায় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। ছাত্রলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর পদত্যাগ চেয়ে একটি চিঠি তিনি মঙ্গলবার ছাত্রলীগের দফতর সেলে পাঠিয়েছেন। কেন্দ্রিয় দফতর থেকে চিঠি না পওয়ার কথা জানালে তিনি ফেসবুকে দিয়েছেন বলে জানান। ফেসবুকে চিঠি দিলে তা গ্রহণ হবে কিনা এর প্রেক্ষিতে বুলবুল বলেন, এখন ছাত্রলীগের কমিটিই তো ফেসবুকে হয়।
চিঠিতে তিনি লেখেন, আমি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সহ-সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার ছাত্রলীগের মনোনীত হওয়ায় গর্বিত। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় জানাচ্ছি যে, বর্তমানে আমার ছাত্রত্ব নেই এবং আমার বয়স ২৮ বছর ৩৬৪ দিনের অধিক। ছাত্রলীগ করার বয়সসীমা সংগঠনটির আদর্শিক নেত্রী শেখ হাসিনা ২৮ বছর ৩৬৪ দিন করে দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বয়স এবং ছাত্রত্ব না থাকায় আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ অবশ্যই বিবেচনা করবে। আশা করি আমাকে প্রাণপ্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেবে।
পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় দফতর সম্পাদক আহসান হাবীব বলেন, এখনও পদত্যাগপত্র আমাদের হাতে পৌঁছায়নি।
তিনি (আমিনুল ইসলাম বুলবুল) আমাকে ফোন দিয়েছিলেন।
দফতর সেল পদত্যাগপত্র পায়নি জানালে অব্যাহতি নিতে ইচ্ছুক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘আমি তো ফেসবুকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। ফেসবুকে দিলে হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন ফেসবুকের যুগ। ছাত্রলীগের কমিটিই তো ফেসবুকে হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে ঘোষিত ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতির পদ পান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ডাকসু নির্বাচনের সময় তিনি ছাত্রলীগের ঘোষিত বিদ্রোহী প্যানেলের (সাধারণ সম্পাদক) জি এস প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে এ প্যানেলটি পরে প্রত্যাহার করা হয়।