বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় কি?

ক্রাইমর্বাতা রিপোট:সাতক্ষীরা:: সাধারণত বজ্রপাত থেকে বাঁচতে নেই কোন প্রতিশেষধক আছে কিছু প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
সাধারণত মার্চ থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয়ে থাকে। বজ্রপাতের সময় পাকাবাড়ির নিচে আশ্রয় নিতে এবং উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এ সময় জানালা থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলা, টিভি-ফ্রিজ না ধরা, গাড়ির ভেতর অবস্থান না করা এবং খালি পায়ে না থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদের মতে বজ্র্রপাতের সময় কী করবেন?
ঘন ঘন বজ্রপাতের সময় খোলা বা উঁচু জায়গায় না থেকে দালানের নিচে আশ্রয় নেয়া। বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন। ল্যান্ডফোন ব্যবহার থেকেও বিরত থাকুন। বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব ধরনের যন্ত্রপাতির প্লাগ খুলে রাখুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও স্পর্শ করা ঠিক হবে না।গাড়িতে থাকলে দ্রুত বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করা। বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। ভয় না পেয়ে মাথা স্থির রাখা।. বিদ্যুতের খুঁটি, টাওয়ার – এসব থেকে দূরে থাকা।

টিনের চালের উপর বজ্রপাতে সাতক্ষীরায় একই পরিবারের তিন জনসহ ৪ জন নিহত
# জেনে নিন বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায়
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের গড়ইমহল, বিজয়নগর ও আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা মাদরা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের গড়ইমহল গ্রামের আদম আলী গাজীর ছেলে আল আমিন (২২)ও রবিউল ইসলাম (২০), আল আমিনের স্ত্রী সাবিনা খাতুন (১৮), একই উপজেলার জিয়নগর গ্রামের হাতিম আলী গাজীর ছেলে মুনছুর আলী গাজী (৫০) এবং আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা মাদরা গ্রামের কবির হোসেন সরদারের ছেলে জুয়েল হোসেন (২৪)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে ঝড়বৃষ্টির সময় কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের গড়ইমহল গ্রামের আদম আলী গাজীর ছেলে আল আমিন ও রবিউল ইসলাম এবং আল আমিনের স্ত্রী সাবিনা খাতুনসহ তিনজন বিলের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় একটি টিনের ঘরের মধ্যে ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠা বিকট শব্দে বজ্র্রপাত হলে টিনের চাল ছিদ্র হয়ে বজ্রপাত তাদের উপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই পুড়ে তিনজন নিহত হয়।
এদিকে, একই সময়ে কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের মুনছুর আলী গাজী বাড়ির পাশে একটি বিলে কাজ করছিল। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খোকন জানান, বৃষ্টি ও প্রচন্ড বজ্রপাত শুরু হওয়ায় গড়ুইমহল গ্রামের আদম গাজীর দুই পুত্র আলামিন, রবিউল এবং পুত্রবধু সাবিনা বাইরের কাজ ফেলে রেখে ঘরের বারন্দায় বসে গল্প করছিল। এসময় তাদের ঘরে বজ্রপাত পড়লে তারা তিনজনই ঘটনাস্থলে নিহত হন। তিনি আরো জানান, আলামিনের সাথে সাবিনার গত ৫ মাস পূর্বে বিয়ে হয়।

নিহত নববধু সাবিনা একই গ্রামের হানিফ কয়ালের কন্যা। অপরদিকে শুক্রুবার বেলা ১১ টার দিকে একই ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের হাতেম গাজীর পুত্র মুনছুর গাজী মাঠে গরু আনতে যেয়ে বজ্র্রপাতে নিহত হয়। এসময় দুইটা গরুও মারা যায়।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আজিজুর রহামন জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনয়নের গড়ইমহল ও বিজয়নগরে বজ্রপাতে একই পরিবারের তিনজনসহ চার জন নিহতের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে।
অপরদিকে, সকালে বৃষ্টি শুরু হলে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা মাদরা গ্রামের জুয়েল হোসেন বাড়ির পাশে একটি গোয়াল ঘরে আশ্রয় নেয়। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর গোয়াল ঘর থেকে বাইরে বের হলেই হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুস সালাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

Check Also

সাতক্ষীরায় ৪ গ্যালন ফরমালিন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ গ্যালন ফরমালিন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। তবে এসময় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।