ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন শাহাদৎ হোসেনের মৃত্যুর চার দিন পর একই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরেক চিকিৎসক। তার নাম তানিয়া আক্তার।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ডা. তানিয়া সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৪৭তম ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে এফসিপিএস পার্ট-২ এর শিক্ষার্থী ছিলেন। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকতেন তানিয়া।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গত বুধবার তানিয়াকে মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকার ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিনই তাকে স্থানান্তর করা হয় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তাকে ভর্তি করা হয়।
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিয়া সুলতানা মারা গেছেন। রাতেই তার স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছেন।
এর আগে গত রবিবার হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেন হাজরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
প্রতিবছর ডেঙ্গুতে অনেক মানুষ আক্রান্ত হলেও এবার এই জ্বরের প্রকোপ কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। মশাবাহিত এ রোগে এখন পর্যন্ত শিশুসহ মারা ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য মিলেছে হাসপাতাল ঘুরে। তবে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৮।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হিসাবে গতকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৪২১। এ বছর এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৫৬৫ জন।
অবশ্য এই সংখ্যাটির চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি বলে গণমাধ্যমে তথ্য আসছে। যদিও যে সংখ্যাটি গণমাধ্যম উল্লেখ করছে, সেটা মানতে চাইছেন না ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
ডেঙ্গুর বিস্তারের মধ্যে উচ্চ আদালতেও এ নিয়ে শুনানি হয়েছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আইনজীবীদের পড়তে হয়েছে তোপের মুখে। মশা নিধনে ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে ওঠা প্রশ্ন অস্বীকার করলেও দুই সিটি করপোরেশন থেকে ওষুধ পাল্টানোর ঘোষণাও এসেছে।