ক্রাইমর্বাতা রিপোট: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের আইন পাসের বিষয়টি স্মরণীয় অনুষ্ঠান হিসেবে বর্ণনা করেন। এটিকে তিনি গণতন্ত্রের স্বাধীনতা বলে উল্লেখ করেছেন। খবর ইয়েনি শাফাক।
মোদি ধারাবাহিক টুইটে বলেন, আমি অভিবাদন জানাচ্ছি জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের ভাই-বোনদের তাদের সাহস এবং স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তনের সক্ষমতার জন্য। বছরের পর বছর ধরে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, কখনো জনগণের ক্ষমতায়ন নিয়ে ভাবেনি। জম্মু ও কাশ্মির এখন তাদের কবল থেকে মুক্ত। একটি নতুন ভোর, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে!
মোদি আরও দাবি করেন, তার সরকার কাশ্মীরের বৌদ্ধ অধ্যুষিত এলাকা লাদাখকে ভারতের কেন্দ্রশাসিত এলাকা ঘোষণার জন্য সেখানকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে।
তিনি বলেন, লাদাখের জনগণকে বিশেষ অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ সিদ্ধান্তটি অঞ্চলের সমৃদ্ধিকে জোরালো এবং উন্নয়নগত সুবিধাকে উন্নতর করবে।
ভারতীয় সংসদ জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে দিয়েছে। ওই এলাকাকে দুটি অঞ্চলে বিভক্ত করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল এবং রাজ্য দুটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার যে সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নিয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এম এল শর্মা নামের এক আইনজীবী এ পিটিশন দায়ের করেন।
সোমবার সকালে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব করেন। সংসদের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন। এরপর মঙ্গলবার লোকসভায়ও বিলটি পাস করে নেয় বিজেপি সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন আইনজীবী শর্মা। তার যুক্তি, ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজ করতে গেলে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভায় তা নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু, তা না করেই একতরফাভাবে ওই অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে।