ক্রাইমর্বাতা রিপোট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আজ হোক কাল হোক সরকার পতনের আন্দোলন ছাড়া আর বিকল্প কোনো পথ নাই। প্রেস ক্লাব ভাড়া করে প্রোগ্রাম করলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে অপরাজেয় বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ডেঙ্গুর ভয়াবহতা: জন আতঙ্ক ও সরকারের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, যে সরকারের নৈতিক ভিত্তি নাই কোনো জনসমর্থন নাই দায়বদ্ধতা নাই, সেই সরকারের প্রতি জনগণেরও কোনো দায়বদ্ধতা আছে বলে আমি মনে করি না।
শেখ হাসিনা যদি ছাড়বেই তাহলে খালেদা জিয়াকে কেন জেলে নেবে প্রশ্ন করে তিনি আমরা তাকে মুক্ত করতে চাই কি না সে সিদ্ধান্ত আমাদেরকে নিতে হবে। শান্তিপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব না। সুতরাং বিএনপির মতো একটা দল যে আন্দোলন করার যোগ্যতা রাখে সেই আন্দোলন না করলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে না।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কাজ কাম পান না, তাই প্রেসক্লাব ভাড়া করে প্রোগ্রাম করেন। এসব করে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না।
সুতরাং আপনারা স্ব-স্ব অবস্থান থেকে প্রস্তুতি নেন। নিশ্চয়ই দল আপনাদের ডাক দেবে। আর যদি ডাক না দেয়, তাহলে আমাদেরকে নিজেদেরই মাঠে নামতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে হবে।
এই মুহূর্ত খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপিকে দরকার দাবি করে অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা সাবেক চিফ হুইফ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, একটা তৃণমূলের নেতাকর্মীও কোনো দলে যোগ দেয়নি।
তিনি বলেন, যে দেশের সরকার ভোটের আগের দিন রাতে ব্যালট দেওয়ার সময় প্রিজাইডিং-পুলিং অফিসারকে বলে দেওয়া হয় পারলে এখনই গিয়ে কাজ সেরে নিও। অনেক এলাকায় রাত্রে করেছে। আমার এলাকায় সকাল দশটায় ব্যালট পেপার নিয়ে কেন্দ্রে যেতে যেতেই সিল মেরে দিয়েছে। সেই সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি?
সংগঠনের সহসভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপত্বি আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহিদুল্লাহ, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহবায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।