ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় সদ্য অনুমোদিত ইউনিয়ন কমিটিতে সভাপতির পদ পেয়েই বেপরোয়া থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ নেতা জারিফুল ইসলাম। সে উপজেলার নাংলা গ্রামের এবাদুল গাজীর ছেলে এবং নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য অনুমোদিত কমিটির সভাপতি। আগে থেকে জারিফুলের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদকদ্রব্য সেবন ও মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ। তাছাড়া জারিফুলের বাবা এবাদুল ইসলাম নাংলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবেই এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসানের কাছে সুপরিচিত। এসব ঘটনায় শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিলো জারিফুল। গত বৃহষ্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিতর্কিত থাকা স্বত্তেও জারিফুলকে সভাপতি করে যৌথ স্বাক্ষরিত বিবৃতির মাধ্যমে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমাদন দেন দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমন ও সাধারণ সম্পাদক এ এইচ সোহাগ হোসেন। মাদক ব্যবসায় সংশ্লিষ্ঠতার কারনে জারিফুল ইতোপুর্বে বেপরোয়া থাকলেও, সম্প্রতি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পদ পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে সে। সম্প্রতি নাংলা বাজারের ব্যবসায়ী কওছার আলী মোড়লের ব্যবসা প্রতিষ্টানে ঢুকে জারিফুল ও তার দলবল প্রতিনিয়ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ, বাকি না দিলে মারপিট ও ফেন্সিডিল দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাসানোর হুমকি দিয়ে আসছিলো। এ ঘটনায় জারিফুল ইসলাম সহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে রবিবার দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ব্যবসায়ী কওছার আলী।
দায়েরকৃত অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই নাংলা বাজারের কওছার আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও বাকি চাইতো জারিফুল সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তাদের দাবী মতো বাকি দিতে না চাইলে ব্যবসায়ী কওছার ও তার ভাই মনিরুলকে মারতে উদ্যত হতো তারা। নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদনের পরদিন শুক্রবার সকালে জারিফুলসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন কওছারের দোকানে ঢুকে নিজেকে ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে জাহির করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্ঠি করে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে দোকানের মালামাল লাথি মেরে ফেলে দেয় জারিফুল। পাশাপাশি ব্যবসায়ী কওছার ও তার ভাই মনিরুলকে মারপিট করতেও উদ্যত হয় তারা। এসময় স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌছালে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফেন্সিডিল ঢুকিয়ে দিয়ে কওছার ও তার ভাই মনিরুলকে মিথ্যা মামলায় জড়িনোর প্রকাশ্য হুমকি দেয় জারিফুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে রবিবার ব্যবসায়ী কওছার আলী বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। পাশাপাশি বিতর্কিত ও মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ থাকা স্বত্তেও কিভাবে এসকল ব্যক্তিরা ছাত্রলীগের গুরুত্বপুর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হচ্ছে সে বিষয়েও আলোচনা সমালোচনা চলছে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে। এব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমন বলেন, ছাত্রলীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে কেউ দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করলে তা বরদাশত করা হবেনা। নওয়াপাড়া ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি জারিফুলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। এদিকে লিখিত অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।