ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট:সাতক্ষীরা সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ফাঁদ ও ট্রলারসহ ৬০ শিকারিকে আটক করেছে বন বিভাগ।
মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জয়মনি এলাকা দিয়ে বন বিভাগ তাদের আটক করে।
এসব চোরা শিকারি আগামী ১০ নভেম্বর দুবলারচরের আলোরকোলে শুরু হতে যাওয়া রাসমেলা উপলক্ষে হরিণ শিকারের উদ্দেশ্যে এ দলটি সুন্দরবনে প্রবেশ করছিল বলে বন বিভাগ দাবি করছে।
আটকদের বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। এদের সবার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান সকালে বলেন, মঙ্গলবার সকালে একদল চোরা শিকারি হরিণ শিকারের ফাঁদ নিয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছে, এমন গোপন খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল চাঁদপাই রেঞ্জের জয়মনি এলাকায় যায়।
সেখানে গিয়ে তিনটি ট্রলারে ৬০ জনকে দেখতে পান বনকর্মীরা। পরে বনকর্মীরা তাদের ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে হরিণ শিকারের ফাঁদ, ধারালো দা, কুড়ালসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
আগামী ১০-১২ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের দুবলারচরের আলোরকোলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব হবে।
এসব চোরা শিকারি আগামী ১০ নভেম্বর দুবলারচরের আলোরকোলে শুরু হতে যাওয়া রাসমেলা উপলক্ষে হরিণ শিকারের উদ্দেশ্যে এ দলটি সুন্দরবনে প্রবেশ করছিল বলে দাবি করেন ওই বন কর্মকর্তা।
এই চোরা শিকারিদের কাছে বন বিভাগের কোনো পাস পারমিট নেই। আগামী ১০ তারিখ থেকে সুন্দরবনের দুবলারচরে যাওয়া পুণ্যার্থী ও ভক্তদের সুন্দরবনে ঢোকার অনুমতি দেবে বন বিভাগ।
চোরা শিকারিদের সবার বাড়ি রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে হওয়ায় আমরা ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে খবর পাঠিয়েছি। তিনি এদের শনাক্ত করার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।