নিজস্ব প্রতিনিধি : স্বামীর মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি শ্বশুর বাড়ির লোকজন কর্তৃক আতœসাতের ষড়যন্ত্র ও বঞ্চিত করার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এক অসহায় নারী। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শহরের মুনজিতপুর রথখোলা বিল এলাকার মৃত এম.এ.কে. হেলাল উদ্দীনের স্ত্রী মিসেস সাহিদা আনসারী রুমি।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে আমার স্বামী স্ট্রোক জনিত রোগে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর আমি আমাদের নাবালিকা ৪ বছরের শিশু কন্যা হুমাইরা আফিয়া রুহিকে নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া শহরের মুনজিতপুর রথখোলা বিলের ভিটাবাড়ীতে বসবাস করছিলাম। এরই মধ্যে আমার স্বামীর আপন ভাই বোনেরা আমাকে ও আমার কন্যাকে স্বামীর ভিটাবাড়ী হতে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে স্বামীর মৃত্যুর ১৫ দিন পর আমার স্বামীর ভাই-বোনসহ আমার শাশুড়ী আমাদেরকে স্বামীর বসতবাড়ী হতে জোরপূর্বক নামিয়ে দেন। আমার স্বামীর অনেক সম্পত্তি থাকার পরও আজ আমি আমার নাবালিকা কন্যাকে নিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। কোন উপায় না পেয়ে বর্তমানে সাতক্ষীরা শহরের একটি ভাড়া বাড়ীতে কোন রকমে দিনাতিপাত করছি। এমনকি অর্থাভাবে আমার নাবলিকা কন্যাকে লেখাপড়া করাতে পারছিনা। এমনকি ভাড়া বাড়ির ৫ মাসের ভাড়াও দিতে পারছিনা। তিনি বলেন, আমার স্বামী জীবিত অবস্থায় তার গ্রামের বাড়ি ফয়জুল্ল¬াহপুরে বেশ কিছু জায়গা জমিও ক্রয় করেন। ওই জায়গাতে আম, জাম, কাঠালসহ বিভিন্ন ফলের গাছও তিনি লাগিয়েছিলেন। সেখান থেকে বছরে কিছু টাকাও আমরা পেতাম। বর্তমানে সেটাও আমি পাচ্ছিনা। এমনকি আমার স্বামীর হারিয়ে যাওয়া চেকের পাতায় নিজেদের ইচ্ছামত টাকার অংক বসিয়ে আমার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি ও আমার কন্যা গত ০৭/১১/২০১৯ তারিখে আমাদের গ্রামের বাড়ীতে স্বামীর রেখে যাওয়া জায়গা জমি দেখতে গেলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজসহ হুমকি ধামকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় আমি গত ইং ১২/১১/২০১৯ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। এরপর কোন উপায় না পেয়ে আমি আমার শিশু কন্যাকে নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক আহমেদ রবির শরণাপন্ন হলে তিনি আমাকে আশ্বস্ত করে বলেন, তোমার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি তুমি অবশ্যই ফিরে পাবে। সংবাদ সম্মেলনে রুমি আরো বলেন, বর্তমানে আমি আমার শিশু কন্যাকে নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি। এমতাবস্থায় তিনি (রুমি) তার নাবালিকা কন্যা সন্তানকে নিয়ে তার স্বামীর ভিটা-বাড়ীতে যাতে দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারেন সেজন্য সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রুমির চার বছরের শিশু কন্যা হুমাইরা আফিয়া রুহি, ভাগ্না সুমন ও সজিব, চাচাতো ভাই আনারুল গাজী এবং প্রতিবেশী আবুল কালাম।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …