সাতক্ষীরা সংবাদদাতা।।নতুন আইন সংশোধনের দাবিতে সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দিনের মত চলছে বাস শ্রমিকদের ধর্মঘট। সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে মঙ্গলবার সকাল থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের সকল বাস চলাচলও। সোমবার রাতে দূরপাল্লার পরিবহন সাতক্ষীরা ছেড়ে গেলেও গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সব বন্ধ রয়েছে।
তবে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও দুই একটি বিআরটিসি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দূর-দূরান্তের যাত্রীরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।
সাতক্ষীরার বাসচালক মিলন সরদার বলেন, নতুন আইন সংশোধন না হলে আমরা বাস চালাবো না। আইনে চালকদের এক তরফাভাবে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। যে জরিমানার বিধান করা হয়েছে সেগুলো চালকরা কখনো পুরণ করতে পারবে না। কেননা চালকরা গরীব মানুষ।
বাস চালক ধুলিহারের আজিজুল জানান, আমাদের কেউ বাস বন্ধ রাখতে বলেনি। আমরা নিজেদের স্বার্থেই বাস চালাচ্ছি না। সরকার যে পরিমান জরিমানা করেছেন তা নিজের ভিটামাটি বিক্রি করেও দেয়া সম্ভব না। তার চেয়ে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ইজিবাইক কিনে চালাবো। তবে আর বাস চালাবো না।
সাতক্ষীরা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, নতুন আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত কোন শ্রমিক বাস চালাতে চায় না। কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশন থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ধর্মঘটের কথা উল্লেখ নেই। তবে মৌখিক নির্দেশনায় শ্রমিকরা বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন। ২১ ও ২২ নভেম্বর শ্রমিকদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশন মতবিনিময় করে সরকারের কাছে দাবি পেশ করবে বলে জানান তিনি।
শ্রমিক নেতা জাহিদুর রহমান আরও বলেন, সাতক্ষীরার অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে বাস চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি তবে শ্রমিকরা বাস চালাবে না জানিয়ে দিয়েছে। কতদিন বাস চলাচল বন্ধ থাকবে তার কোন সঠিক দিনক্ষণ জানাতে পারেননি তিনি।
সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি সাইফুল করিম সাবু বলেন, শ্রমিকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ধর্মঘটে লিপ্ত হয়েছে। তারা নতুন আইনের আতঙ্কে বাস চালাতে চায় না। দূর্ঘটনা ঘটলে এক তরফাভাবে বাস চালক ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার বিধান করা হয়েছে নতুন আইনে। দূর্ঘটনা একা হয় না তবুও সব শাস্তি হয় চালক শ্রমিকদের। এটা শ্রমিকরা মানছে না।
তিনি বলেন, নতুন আইনের কিছু বিধান জামিন অযোগ্য ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা সেগুলোর সংশোধন করা প্রয়োজন। এছাড়া ট্যাক্স-টোকেনের বিষয়ে শ্রমিকদের কোন অপত্তি নেই। সরকারের কাছ থেকে আইন সংশোধনের আশ্বাস পেলে শ্রমিকরা সড়কে ফিরে যেতে পারে বলে তিনি জানান।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …