কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের কাউন্সিল ঘিরে উত্তেজনা চাপা ক্ষোভ

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সাতক্ষীরা:কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের ত্রি বার্ষিক সন্মেলন কে ঘিরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তৃণমুল নেতা কর্মীদের মাঝে। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ৪৫৯ জন কাউন্সিলর তাদের সমার্থনে উপজেলা কমিটি গঠন করে দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করবে। আগামী দিনে দলীয় কর্মকান্ড আরো সুংসগঠিত করার লক্ষ্যে আসন্ন কলারোয়া উপজেলার সাধারন সম্পাদক জনপ্রিয় তরুন নেতা আমিনুল ইসলাম লাল্টু প্রার্থী হতে না পেরে তৃণমুল কর্মীদের মাধে হতশা বিরাজ করছে সর্বত্রে। আর সন্মেলন কে ঘিরে দেখা গেছে উত্তেজনা। ইতোমধ্যে উপজেলার সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন পুনারায় সভাপতি হতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে । ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন ২০০২ সালে বন্য কবালিত মানুষের দ:খ দুরদশা দেখতে আসনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বন্যা কবলিত মানুষের ত্রান বিতরন শেষে কলারোয়া উপজেলাতে এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী নির্যাতনের শিকার হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখতে এসে ফিরে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তৎকালীন সরকার দলীয় সমার্থকরা কলারোয়তে গাড়ী বহরে হামলা করে । এ ঘটনার পরবর্তীতে কলারোয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম হোসেন বাদী ও তার জামাতা তৎসময়ে আ.লীগ নেতা ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন সহ আরো কয়েকজন স্বাক্ষী হয়ে আদালতে একটি মামলা হয় । মামলা স্বাক্ষী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন ঘটনা স্থলে ছিল না বলে এ মর্মে আদালতে উপস্থিত হয়ে তার স্বাক্ষী প্রত্যাহর করে নেয় । অর্থের বিনিময়ে এ কাজ করেছে বলে সে সময় দলীয় নেতা কর্মী মাঝে বিভিন্ন গুনজন শোনা গেছে । ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বিগত ৫ টি বছর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে শুধু নিজের ভাগ্য উন্নয়ন করেছে বলে দলের তৃণমুলে অনেক নেতা কর্মীর অভিযোগ শোন যায়। যার পরিপেক্ষিতে চলতি বছরে দলীয় নৌকা প্রতিক পেয়েও বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজয় হয় তার । ২০১৩ সালে কলারোয়া যে আন্দোলন হয়েছিল তার ভুমিকা ছিল নি:ষ্কৃরিয়। দীর্ঘ দিনের আন্দোলন সংগ্রামে যার ভুমিকা ছিল দলের প্রতিষ্ঠা কালীন সভাপতি বিএম নজরুল ইসলাম তাকে অমুল্যয়ন করে নিজেকে সভাপতি হওয়া প্রচেষ্টায় সফল হয় । উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হয়ে নিজের অনুসারীদের কে কে কাউন্সিলর করে পুনারায় সভাপতি হওয়ার পথ পরিষ্কার করেছে বলে জানায় নেতা কর্মীরা। জনপ্রিয় নেতা বর্তমান সাধারন সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম দলীয় প্রতিক না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে। আমিনুল ইসলাম লাল্টু বিরুদ্ধে দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় দলীয় ভাবে তাকে কারন দর্শনের নোটিশ করলে তার জবাব দেয় । দলের অনুগত্য প্রকাশ করলে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। আমিনুল ইসলাম লাল্টু প্রার্থী না হতে পেরে তার জনপ্রিয়তার করনে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন ইউনিয়ন নেতা কর্মীদের উপেক্ষা করে কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে আগামী ২৯ নভেম্বর । তৃণমুল নেতা কর্মীদের অভিমত উপজেলা চেয়ারম্যান যদি প্রাথী না হতে পারে তবে তার পরিবারের মধ্যে থেকে এক জন সৎ দক্ষ সাধারন সম্পাদক হতে পারে তার দাবী জানান ।
আগামী ২৯ তারিখে কাউন্সিলের জন্য দাওয়াত পত্র দেয়া হয়েছে বলে নেতা কর্মীরা জানান । কলারোয়া উপজেলা প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান,বি,এম নজরুল ইসলাম বলেন আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘ ৩৪ বছর আমার দল আওয়ামী লীগের সাথে আছি । আমি জেলা আ. লীগের উপদেষ্টা সদস্য কাউন্সিলে দলীয় ভাবে আমাকে দাওয়াত দেয়া হয়নি । তিনি আরো বলেন, দলের জন্য দীর্ঘ দিন কাজ করেছি এখন আর দলের অনেক নেতা কর্মীদের কে সে ভাবে মূল্যয়ন করা হয়না । আমি দলের দুর দিনে ছিলাম এখন ও আছি আগামীতে থাকব ইনশাল্লাহ ।

Check Also

আশাশুনি সদর ইউনিয়ন জামায়াতের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি প্রতিনিধি।।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।