ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ অস্ত্র দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে ওই তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ৩ দিন পর ফেরত দেয়া হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই তরুণীকে।
স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতার বাসায় ডেকে নিয়ে তরুণীর বড় মামা হাজী নাজমুল ইসলাম দারুর কাছে মেয়েটিকে হস্তান্তর করা হয়।
তরুণীর বড় মামা হাজী নাজমুল ইসলাম দারু রোববার বিকালে জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা শহরের পূর্ব মেড্ডাস্থ বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকার এক বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারে ছেলে মাহী সরকার। এই সময় অস্ত্র দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে ওই তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মাহীর সঙ্গে তার আরও কয়েকজন সহযোগী ছিল।
শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের এক নারী কাউন্সিলরের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেয়া হয়।
পৌরসভার সংরক্ষিত ১, ২ ও ৪ নং ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর হোসনে আরা জানান, রাত ৯টার দিকে ওই নেতার বাসা থেকে মেয়েকে তিনি নিয়ে আসেন। মেয়েটি ওই নেতার এক আত্মীয়ের বাসায় ছিল। সেখান থেকে এনে তাকে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বিয়ের কোনো কথা আমি জানি না। মেয়ে পেয়ে আমরা চলে আসি। আমার নিজের বিবেচনায় মেয়ে সাধারণ পরিবারের। আর তিনি হচ্ছেন উচ্চ লেবেলের নেতা। আমরাই চোখে দেখছি মিল খাবে না। সে কারণে আমরা মেয়েকে নিয়ে এসেছি।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, শনিবার রাত থেকেই মেয়েটি পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।
এ দিকে রোববার দুপুরে ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি কাউকে। মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর তার মা ঘর তালাবন্ধ করে অন্যত্র আশ্রয় নেন। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিলে বাড়ি ছাড়া করার হুমকি দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতার ছেলের এই কীর্তি টক অব দি টাউনে পরিণত হয়।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের ছেলে মাহী সরকার এর আগে আখাউড়ায় অস্ত্রসহ ধরা পড়ে। গত বছরের ২৫ জানুয়ারি গভীর রাতে আখাউড়া পৌর শহরের মসজিদপাড়া থেকে তাকেসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
ওই সময় তাদের বহনকারী প্রাইভেটকার তল্লাশি করে ১টি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে বাদ দিয়ে পুলিশ ওই ঘটনায় তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলাটির অভিযোগপত্র দেয়।