ক্রাইমর্বাতা রিপোট:সাতক্ষীরা:এক ফালি মিস্টিকুমড়া, আধা কেজি আলু, আছে এক কেজি করে কচুর লতি। এছাড়া কাকরোল, শসা, বেগুনও আছে। এসব সবজি দিয়ে তৈরি হয়েছে একটি করে ‘ভেজিটেবল প্যাক’। আর ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে সেই প্যাকগুলো।
উপকূলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে ‘ভেজিটেবল প্যাক’ পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগটি সাতক্ষীরার রিভারসাইড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামের একটি সংগঠনের।
স্থানীয় সামাজিক সংগঠন উৎসর্গ সোসাইটির তত্ত্বাবধায়নে গত ২৮ মে ও শুক্রবার ২৯ মে এই দুইদিন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ঘোলা ও গাংটি উপকূল সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত ১০৬ জন মানুষের পরিবারে এই সবজি পৌঁছে দেয়া হয়। উৎসর্গ সোসাইটির সভাপতি গাজী আব্দুর রউফ জানান, মোট ৫২ কেজি আলু, ১১০ কেজি কচুর লতি, ৪৫ কেজি ঢেড়শ, ৬৬ কেজি কুমড়া, ৮৫ কেজি কাকুড়সহ অন্যান্য সবজি বিতরণ করা হয়েছে। কোথাও নৌকা যোগে, কোথাও ভ্যানগাড়িতে করে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবজিগুলো পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। উপকারভোগীদের একজন গাংটি গ্রামের হাছিনা বেগম। তিনি জানান, প্রতিটি দুর্যোগ মুহূর্তে দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় সংগঠনটি। এর আগে করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে কাছে কিছু খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক সহায়তাও দেয় তারা। গত শুক্রবার সকাল ১০টায় একটি অনুষ্ঠানে গাজী আব্দুর রউফ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য সাংস্কৃতিক সংগঠক ও গবেষক ড. ইয়াসিন মাহমুদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, রিভারসাইড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিটি দুর্যোগ মুহূর্তে দুঃস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনা ভাইরাস ও আম্পান দুর্যোগে সংগঠনটি তাদের সেচ্ছাসেবী কর্মকা-ের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক জামাল হোসেন, সহকারী পরিচালক ওবায়দুল্লাহ গাজী, আব্দুল আলিম, আরিফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, নাজমুল হোসেন, চম্পা খাতুন প্রমুখ। রিভারসাইড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়্যারম্যান সরদার হাসান ইলিয়াছ তানিম জানান, ২০১৩ সালে ট্রাস্টটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে এই এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে এককালীন নগদ অর্থ সহায়তা, প্রতিবছর দুস্থ ও অসচ্ছল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে। এছাড়া ঈদসামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সংগঠনটি।