ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার পরিবারে ৬ সদস্যসহ মোট ১১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সংসদ সদস্যের স্ত্রী, তিন মেয়ে, এক নাতনি ও এক মেয়ের জামাই, এমপির ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী এবং বাসার তিন কাজের মেয়ে রয়েছে।
সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী একেএম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল শুক্রবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। রাসেল জানান, গত ১ জুন এমপি’র শহরের বাসা থেকে পরিবারের মোট ১৬ জনের নমুনা নেয়া হয়। ২ জুন ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতাল ল্যাবের রিপোর্টে এমপিসহ মোট ১১ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
রাসেল জানান, করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর পরিবারের সবাই চট্টগ্রাম শহরের বাসায় আইসোলেশনে আছেন। আল্লাহর রহমতে স্যার (সাংসদ) ভালো আছেন। পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আমরাও ভালো আছি।
সিভিল সার্জন মহোদয় খোঁজ-খবর রাখছেন। পরিবারের সবাই সিভিল সার্জনের পরামর্শ মেনে চলছেন। প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে রাখা হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত সম্পর্কে রাসেল বলেন, ২৫ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে গাড়ির চালকদেরও ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। বাসায় মানুষের যাওয়া-আসাও সীমিত করা হয়। স্যার তেমন কোনো মিটিং-সেমিনারেও যোগ দেননি। এমপি নিজে এবং পরিবারের কোনো সদস্য বাসা থেকে তেমন বের হননি। শুধুমাত্র ১৪ মে জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের সভায় যোগ দেন।
এর আগে এপ্রিলের শেষ দিকে সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আহ্বানে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন শুধু। এছাড়া নিজের এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন, তবে তা ১৪ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত। সবমিলিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সবধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই ছিলেন তিনি। এরপরও করোনায় আক্রান্তের হিসাব মেলাতে পারছেন না তাঁরা।
আর ঈদের আগে নিজ এলাকা বাঁশখালীতে গেলেও বাড়িতে লোকজনের ভিড় হওয়ার শঙ্কায় পুনরায় শহরে ফিরে আসেন এমপি মোস্তাফিজুর রহমান। ঈদ করেছেন শহরেই। তবে ঈদের সময় বাসায় বেশ কিছু সংখ্যক অতিথি এসেছিলেন। যদিও অতিথিদের সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কথা বলেছিলেন সাংসদ।
তবে সাংসদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছেন, ঈদের পরদিন সাংসদের স্ত্রীর ছোট বোন তাঁর ছেলেকে নিয়ে সাংসদের শহরের বাসায় আসেন। এর দুদিন আগে ওই শালীর শরীরে জ্বর ছিল বলে জানা গেছে। তার মাধ্যমেই সবাই আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে এমপির পরিবারের ধারণা।